আজকের আলোচিত বিষয় মজার একটি উদ্ভিদ নিয়ে। আরো আলোচনা করা হবে, চুই ঝাল এর উপকারিতা নিয়ে। এই উদ্ভিদের নাম চুই ঝাল বা চই ঝাল এর বৈজ্ঞানিক নাম: Piper chaba। এই উদ্ভিদ হচ্ছে পিপারাসি পরিবারের অন্তর ভূক্ত সপুষ্পক লতা। কিন্তু পান ও চুই ঝাল একই পরিবারের অন্তর ভূক্ত। চুই ঝাল গাছ দেখতে পানের লতার মতো। এই চুই ঝাল এর বিভিন্ন উপকারিতা ও গুনাগুণ রয়েছে। তবে চলুন জেনে নেই চুই ঝালের উপকারিতা চাষ পদ্ধতি এবং এর রেসিপি বানানোর পদ্ধতি

চুই ঝাল এর গাছের ছবি
চুই ঝাল এর গাছের ছবি

চুই ঝাল এর উপকারিতা ও ভেষজ গুণাগুন

এই চুই ঝাল দেখতে যেমন সুন্দর আবার খেতেও ভালো, তার চেয়েও বেশি রয়েছে এর উকারিতা। মানব জীবনের জন্য কি কি উপকারে আসে এই উদ্ভিদ চলুন তা জেনে নেয়া যাক

চুই ঝাল এর উপকারিতা
চুইঝাল এর ডালের ছবি
  • এই চুইঝাল গ্যাসট্রিকের মতো বড় বড় সমস্যা সমাধানে বিশষ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • অনেকের মারাত্বক এই কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে চুই ঝাল খুবই কার্যকারী , রুচি বাড়াতে এবং ক্ষুধামন্দা দূর করতে কার্য্কর ভূমিকা রাখে।
  • চুই ঝাল যেমন বিভিন্ন রোগের কাজ করে থাকে, তেমনি পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ নিরাময়ে চুইঝাল খুবই উপকারী।
  • চুই ঝাল মানুষের স্নায়ুবিক উত্তেজনা ও মানসিক অস্থিরতা দূর করতে বিশেষ ভাবে সহেতা করে। এমন কি ঘুম আনতেও সহায়তা করে থাকে।
  • চুই ঝাল মানুষের বিভিন্ন রোগ নিরাময় করতে সহেতা করে যেমন শ্বাসকষ্ট, কাশি, কফ, হাঁপানি, ডায়রিয়া , রক্তস্বল্পতা।
  • আপনি যদি সর্দির সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে চান। তাহলে মাত্র সামান্য পরিমাণ চুইঝালের সঙ্গে আদা পিষে নিয়মিত খেতে পারেন। দেখবেন সর্দি দূর হয়ে যাবে।
  • চুই ঝাল খেলে শারীরিক দুর্বলতা দূর হয় এবং শরীরের ব্যথা সারাতে চুই ঝালের নেক কার্যকারিতা রয়েছে।
  • চুই ঝাল গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের শরীরের ব্যাথা কমাতে সহেতা করে।
  • চুই ঝালের ফল খেলে মানসিক অস্থিরতা কমে।

চুই ঝাল কোথায় পাওয়া যায়

চুই ঝাল দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় প্রজাতি। এই উদ্ভিদ পুরো ভারত এবং এশিয়ার অন্যান্য উষ্ণ এলাকাসহ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর ও শ্রীলংকায় ও বাংলাদেশে জন্মে। চুই ঝাল বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলের জেলা গুলোর মধ্যে যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা এবং নড়াইল এসব এলাকায় এই চুইঝাল মসলা হিসেবে খুব জনপ্রিয় ও বেশি ব্যবহৃত হয়।

চুই ঝাল রান্নার রেসিপি

চুই ঝাল একটি ঝাল জাতীয় মশলা যা তরকারির স্বাদ বাড়ায়। বিভিন্ন ঝোল জাতীয় তরকারিতে যেমন মাছ মাংস সব কিছুতেই স্বাদ তৈরি করে। সাধারনত মরিচ খেলে যেমন ঝালে ঘাম চলে আসে, কিন্তু এই চুই ঝালে সে রকম ঝাল লাগে না। এই ভেষজ খাদ্যটি গুণে ভরা ও স্বাদেও অন্য রকম।

চুই ঝাল রান্নার রেসিপি
চুই ঝাল এর রেসিপি

উপকরণ-
১ কেজি গরুর মাংস, চুইঝাল মাঝারি টুকরা করে কাটা ২ কাপ, আলু স্লাইস ১কাপ, আদাবাটা ২ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, ভালো পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণ মতো, টকদই আধা কাপ, তেজপাতা ৪টি, দারচিনি ৪ টুকরা, এলাচ ৪টি, লবঙ্গ ৬টি, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, সরিষার তেল ১ কাপ, লেবুর রস-১ চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা ভাজা গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনে পাতা এমন মসলা জাতীয় যা আছে সবই দিতে পারবেন।

প্রণালী-
প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে মাংস ধুয়ে লবণ ও টকদই দিয়ে মেখে ১ঘণ্টা রাখুন। এরপর তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে তাতে সব মসলা কষিয়ে, চুইঝাল ও আলু দিয়ে কয়েকবার কষান। কষানো হলে পরে পানি দিন। যখন মাংসের ঝোল শুকিয়ে তেলের ওপর এলে গরম মসলার গুঁড়া, জিরা ভাজা গুঁড়া ও সব শেষে লেবুর রস দিয়ে নামিয়ে নিন। আপনি এ ভাবেই মজাদার চুই ঝাল রান্না করতে পারেন। আপনি চাইলে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন। তবে গরম ভাতেই খেতে বেশি মজা হয়।

চুই ঝাল চিনার উপায়

চুইঝাল গাছের পাতা কিছুটা লম্বা ও পুরু।গাছ দেখতে পানের লতার মতো। পাতায় ঝাল নেই। চুই ঝাল কাণ্ড বা লতা কেটে টুকরো টুকরো করে মাছ-মাংস রান্নায় ব্যবহার করা হয়। সেই কান্ড রান্নার পর সেসব টুকরো চুষে বা চিবিয়ে খাওয়া হয়। সে সব খেতে সুস্বাধু হয়। এটি খুব ঝাল হলেও এর একটা অন্য রকম স্বাদ ও ঘ্রাণ আছে।

চুই ঝালের দাম কেমন

চুই ঝাল একটি ভেষজ উদ্ভিদ বর্তমান এটি মসলা হিসাবে বেশি জনপ্রিয়। এটি খেতে যেমন স্বাদ তেমনি গুণে ভড়া। তাই এটি এখন বেশি দামী মসলা হিসাবে বলা হয়। তবে ভালো মানের চুইঝাল এর দাম অনেক বেশি,কেজি ১২০০-১৫০০ টাকা হতে পারে। চুইঝাল যত বড় হবে এর দাম ও ততো বেশি হবে। তবে চিকন সাইজের চুইঝাল এর দাম ৩০০-৪০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।

চুই ঝাল চাষ পদ্ধতি

চুইঝাল গাছ উঁচু জায়গায় সবচেয়ে ভালো হয়। এই গাছের গোড়ায় পানি জমলে গাছ পচে যায়। গাছে ফুল-ফল হয়। বীজ থেকে চারাও হয়। তবে এই গাছের শিকড়সহ গিঁট কেটে লাগালে সহজে চারা হয়।

চুই ঝাল এর চারার ছবি
চুই ঝাল এর চারার ছবি

রোপনের সময়ঃ
বেশির ভাগ বৈশাখ থেকে জৈষ্ঠ এবং আশ্বিন থেকে কার্তিক মাসে চারা রোপন করা যায়।

চুইঝাল এর বংশবিস্তার
বীজ ও লতার কাটিং দিয়ে বংশবিস্তার করা যায়। তবে লতার কাটিংয়ে বাড়বাড়তি তাড়াতাড়ি হয় এবং ফলন দ্রুত পাওয়া যায়। বীজ থেকে বংশবিস্তার জটিল, সময়সাপেক্ষ বলে আমাদের দেশে শুধু লতা থেকে বংশবিস্তার করা হয়।

জমি ও মাটি
সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র চুইঝাল চাষ করার জন্য বেছে নিয়েছে দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি। পানি নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত ও ছায়াময় উঁচু জমিতে সাধারণত চুই চাষ করা হয়। এই মসলা জাতীয় উদ্ভিদ টি চাষের জন্য আলাদা কোনো মাটি ও জমির প্রয়োজন নেই। সাধারণ ফলবাগান বা বৃক্ষ বাগানের মাটি ও জমির উপযুক্ততাই চুইঝালের জন্য বেশি উপযুক্ত।

কাটিং শোধন
রোগ বালাইমুক্ত আবাদের জন্য চুইঝালের কাটিং তৈরি চারা রোপণের আগে অবশ্যই শোধন করে নিতে হবে। শোধনের জন্য ১ লিটার পানিতে ২-৩ গ্রাম প্রোভ্যাক্স/নোইন/ব্যাভিস্টিন বা অন্যকোনো উপযুক্ত রাসায়নিকে মিশিয়ে কাটিং ৩০ মিনিট চুবিয়ে রাখার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে কাটিং রোপণ করতে হবে। এতে করে রোগ পোকার আক্রমণ অনেক কম হয়। তখন লতা ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে।

সার ও সেচ ব্যবস্থাপনা
সাধারণত চুই চাষে কোনো রাসায়নিক সার ব্যবহার করা লাগে না। শাখা রোপণের আগে গর্তে পচা আবর্জনা বা ছাই বা গোবর ব্যবহার করেন। তবে কেউ কেউ কোথায়ও কোথায়ও কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী সাধারণ হারে টিএসপি, ইউরিযা, এমওপি বর্ষার আগে ও পরে গাছের গোড়া থেকে ১ হাত দূরে প্রয়োগ করেন। কিন্তু শুকনো মৌসুমে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হয়। বিশেষ করে সপ্তাহে ১ বার গাছের গোড়ায় সেচ দিলে গাছের বড় হতে স্বাভাবিক থাকে। বর্ষাকালে চুইঝালের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সে দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়।

বাউনি দেয়া
আমরা আগেই জেনেছি যে চুইঝাল লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর জন্য আরোহণের সাপোর্ট লাগে। এতে করে জাম, সুপারি, নারিকেল, আম, কাঁঠাল, মেহগনি ও কাফলা গাছ বাউনি হিসেবে চুই চাষের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে কেউ যদি বাউনি না দিয়েও মাটিতে চাষ করতে পারেন। অন্যান্য দেশ বেশির ভাগ মাটিতেই কোনো বাউনি ছাড়া চুইঝালের চাষ করে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে গাছের লতার বেশ ক্ষতি হয়।

ফসল সংগ্রহ
এই ফসল টি লাগানোর বা রোপণের ১ বছরের মাথায় খাওয়ার উপযোগী হয়। কিন্তু ভালো ফলনের জন্য ৫-৬ বছর বয়সের গাছ উত্তম। এতে করে ৪-৫ বছর অপেক্ষা করা ভালো। এই চুঝাল বিভিন্ন বড় বড় গাছের সাথে আরোহণের ব্যবস্থা করে দিলেই হয়। এতে করে মূল গাছের বৃদ্ধি পাওয়া তে বা ফলনে কোনো সমস্যা দেখায় দেয় না।

ফলন
চুইঝাল প্রতি হেক্টর দুই থেকে আড়াই মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়। চুইঝাল ৫-৬ বছরের একটি বড় গাছ থেকে বছরে প্রায় পনেরো থেকে পশিচ কেজি পর্যন্ত লতার ফলন পাওয়া যায়।

চুইঝালের ব্যবহার

চুইঝাল এর কাণ্ড খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে বড় মাছ বা যে কোনো মাংসের সাথে খাওয়া যায়। এতে বেশি স্বাদ থাকার কারনে অনেকে লবণ দিয়ে কাঁচা কাণ্ডও খান। আচার, ছোলা, ভাজি, হালিম, চটপটি, ঝালমুড়ি, চপ ও ভর্তা তৈরিতে চুইঝাল ব্যবহৃত হয়। টোটাল কথা হলো মরিচ, গোলমরিচ ঝালের বিকল্প হিসেবে যে কোনো কাজে চুইঝাল ব্যবহার করা যায়।

চুইঝালের অর্থনৈতিক গুরুত্ব

এই চুই ঝাল নার্সারি শিল্পে একটি মূল্যবান উপকরণ উপাদান হিসেবে বিশেষ বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে এরই মধ্যে চুই লতার চারা উৎপাদন বাণিজ্যে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। তবে পাহাড়ি এলাকায় চুইঝাল বেশির ভাগ প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে। বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে বৃহত্তর খুলনা চুইঝাল চাষ করে। এখানে এর বাজার রমরমা এবং ত্যাজি।

এটি শুকনো এবং কাঁচা উভয় অবস্থায় চুই বিক্রি হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা চুইঝাল লতা অঞ্চল ভেদে ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। বিশেষ করে এর শাখা থেকে শিকড়ে ডালে ঝাল ও স্বাদ বেশি হয় বলে তাই এর দামও একটু বেশি হয়।

নিশেষ করে শুকনো চুইয়ের দাম কাঁচার চেয়ে আরও ২-৩ গুণ বেশি হয়। ১কেজি চুই এর দাম পনেরোশত টাকা থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু একজন সাধারণ কৃষক মাত্র দুই থেকে তিন টি চুই গাছের চাষ করে নিজের পরিবারের চাহিদা মিটাতে পারেন। তবে বেশি ফলন হলে নিজের পরিবারের চাহিদাও মিটিয়ে বাড়তি আয় করতে পারেন।

বিশেষ করে আমাদের দেশে মরিচের বদলে চুইঝালের চাষের বিস্তার ঘটিয়ে হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। যদিও এটি অবাক করা বিষয় হলোও এই যে খুলনার চুইঝাল, আমাদের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে ও রফতানি হচ্ছে। যদি সংশ্লিষ্ট সব কর্তিপক্ষ এর দিকে পরিকল্পিতভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেন এবং সুনজর দেন তবে আমাদের দেশ চুইঝাল থেকে প্রচুর পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে।

এই চুইঝালের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। তাই জনপ্রিয়তা আর গ্রহণ যোগ্যতার কারণে দেশ-বিদেশে চুইঝাল বা চুই হোটেল নামে অগণিত হোটেল রেস্তোরাঁর নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু এসব হোটেলে বেশির ভাগ চুইসমৃদ্ধ খাবারই পরিবেশন করা হয়। তবে সবাই খেয়ে রসনা তৃপ্তি মেটান। কিন্তু আমাদের দেশেও বেশ ক‘টি চুইঝাল হোটেল চুইঝাল বা চুই নামের কারণে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এবং দারুণ ব্যবসা করে যাচ্ছে।

চুইঝালের চারা কোথায় পাওয়া যায়

এই চুইঝাল জনসাধারন এর জন্য বাংলাদেশের বনায়ন কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন ও জনসাধারনের মাঝে গাছের চারা প্রাপ্তি সহজলভ্য করার লক্ষে বন বিভাগ কর্তৃক দেশের ৬২ জেলায় মোট ১০১টি সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র। বাংলাদেশের মোট ৩৩৪টি সামাজিক বনায়ন বাগান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

তবে এসব নার্সারী বেশির ভাগ বসতবাড়ী ও প্রতিষ্ঠান বনায়ন এবং ব্যক্তি উদ্যোগে নার্সারী স্থাপনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর সরকারী নার্সারী থেকে জনসাধারন সুলভ মূল্যে তাদের চাহিদা মত সকল প্রকার বনজ, ফলজ ও ঔষধি প্রজাতির এমনকি চুইঝাল এর চারাও সংগ্রহ করতে পারেন। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সবগুলো নার্সারিতে চুইঝালের চারা পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনঃ রোগ নিরাময়ে আলকুশি বীজের উপকারিতা ও চাষ পদ্ধতি

উপরিউক্তে আলোচনা থেকে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে মরিচের বিকল্প হিসেবে চুইঝালের জনপ্রিয়তা বাড়লে দেশের হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এটির মধ্যে ভেষজ গুণ থাকার কারণে অনেক রোগব্যাধির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। অতএব এটি আমরা নিঃসন্দেহে চাষ ও ব্যবহার করতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *