ফুল বা পুষ্প হল উদ্ভিদের বিশেষ একটি মৌসুমী অঙ্গ যা উদ্ভিদের প্রজননে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফুল হচ্ছে পবিত্র জিনিস যাকে মানুষ সকলেই ভালোবাসে।ফুলকে ভালোবাসে না এমন মানুষ পৃথিবীতে নেই।ফুল আর ভালোবাসা যেন একই সুতোয় গাঁথা। ফুল হলো এই বিচিত্র পৃথিবীর সৌন্দর্য প্রকাশের একটি অসাধারন মাধ্যম।সৃষ্টিকর্তার সুন্দরতম সৃষ্টিগুলোর মধ্যে অন্যতম, এক কথায় বলতে গেলে ফুল বরাবরই সৌন্দর্যের  প্রতীক। যদিও সৌন্দর্য সবাইকে একই ভাবে আকৃষ্ট করে না কারণ দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতার কারণে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা ও নমুনা একেক মানুষের কাছে একেক রকম। সৌন্দর্যের প্থিবীতে সবচেয়ে সুন্দর ১০টি ফুল নিয়ে আমাদের এই আয়োজন।

সবচেয়ে সুন্দর ১০টি ফুল

গোলাপ

গোলাপ নামটি ল্যাটিন রোসা থেকে এসেছে।গোলাপ যতার্থই ফুলের রাণী।গোলাপগ বাগানে এবং কখনো কখনো বাড়ির অভ্যন্তরে তাদের ফুলের জন্য শোভাবর্ধনকারী গাছ হিসাবইে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। যেমন তার রুপ তেমনি বাহারি সে বর্ণে ও সৌরভে।প্রাচীন কাল হেকেই ভালোবাসা ও সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে গোলাপ তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে সবার প্রথমে অবস্থান করছে।

golap

প্রাচীন কাল থেকে ভালোবাসা ও সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে গোলাপ তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে সবার প্রথমে অবস্থান করছে। এই পৃথিবীতে প্রায় ১০০ প্রজাতির গোলাপ রয়েছে তন্মদ্ধে আমাদের দেশে গোলাপী, লাল, হলুদ, সাদা ও কালো ইত্যাদি বর্ণের গোলাপ সহজলভ্য। এই সাম্প্রতিক সময়ে উচ্চ গবেষণার মাধ্যমে জিনগত বৈশিষ্ট্য উন্নয়ন করে “গার্ডেন রোজ” নামে বিভিন্ন হাইব্রিড গোলাপের উদ্ভাবন করা হচ্ছে যা একই ফুলে দুই বা ততোধিক রঙের পাপড়ি উৎপাদন প্রজাতি সংগ্রহ সম্ভব করতে সক্ষম।

আরো পড়ুন: চলুন অলকানন্দা ফুল সম্পর্কে জেনে নেই

বাগান বিলাস

বাগানবিলাস ( ইংরেজি নাম : Bougainvillea ; বৈজ্ঞানিক নাম: Bougainvillea spectabilis ) পুষ্প, গুল্মজাতীয় বৃক্ষের গণবিশেষ। গোলাপী,লাল, হলুদ বিভিন্ন রঙের অধিকারী এ ফুল গাছটির আদি নিবাস ব্রাজিল ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। মূলতঃ, উষ্ণমণ্ডলীয় দেশসমূহসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে গৃহসজ্জ্বা কিংবা বাড়ীর চারপাশের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে লতাজাতীয় গুল্ম হিসেবে বাগানবিলাস জন্মানো হয়।

বাগান-বিলাস

বাগানবিলাস গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের লতাজাতীয় বৃক্ষ হিসেবে পরিচিত।বাগান বিলাস নাম যেমন সুন্দর ঠিক তেমনি দেখতেও অনিন্দ্য সুন্দর এই ফুল আর মজার কথা হলো এই বাগান বিলাস নাম আমাদের কবি গুরু রবি ঠাকুরের দেয়া।এর ১৮টি প্রজাতির মধ্যে বাংলাদেশে প্রধানত গোলাপি, লাল, হলুদ আর সাদা প্রজাতির দেখা মেলে।

ডালিয়া

ডালিয়া এক ধরনের গুল্মজাতীয়, কন্দযুক্ত, সপুষ্পক ভেষজ বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ যা মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকায় জন্মায়। ডিকোটাইলেডোনাস উদ্ভিদের অস্টেরেসি (পূর্বে কম্পোজিটি) পরিবারের সদস্য হিসাবে বাগানে সূর্যমুখী, ডেইজি, চন্দ্রমল্লিকা এবং জিনিয়া ফুলের পাশাপাশি ডালিয়ার চাষ করা হয়। শীতকালীন মৌসুমী ফুলের মধ্যে ডালিয়াই সর্ববৃহৎ আকার ও আকর্ষণীয় রঙের ফুল।

ডালিয়া

ডালিয়ার ৪২টি প্রজাতি রয়েছে, সাধারণত সংকর প্রজাতিগুলি বাগানের গাছ হিসাবে দেখা যায়। ডালিয়া ফুলের গঠন পরিবর্তনশীল, যেখানে প্রতি ডাঁটায় একটি করে মাথা থাকে।ডালিয়া মেক্সিকোর জাতীয় ফুল হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য ১০ টি শ্রেণীর আওতায় ডালিয়ার রয়েছে প্রচুর জাত। এর বেশকিছু উন্নত জাতের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গল, স্টার, অ্যানেমিন ফাওয়ার্ড, কলারেট, পিওনি ফাওয়ার্ড, ফরমাল ডেকোরেটিভ ইত্যাদি। ডালিয়া সাধারনত আমাদের দেশে শীতকালে ফোটে।

অর্কিড

অর্কিড বা অর্কিড পরিবার (ইংরেজি: Orchidaceae family) হচ্ছে সপুষ্পক উদ্ভিদের একটি পরিবারের নাম। এরা রঙিন, সুগন্ধি আর বহুলবিস্তৃত হয়। অ্যাাস্টারাসি পরিবারসহ, দুটি বৃহৎ পরিবারে বর্তমানে ৮৮০টি গণে ২১,৯৫০ থেকে ২৬,০৪৯টি গৃহীত প্রজাতি আছে। সিংহভাগ অর্কিডই পরাশ্রয়ী, তবে ভূমিজ অর্কিডও আছে, আছে মৃতজীবীও।

অর্কিড

পৃথিবীর সব মহাদেশেই অর্কিড দেখা যায়। বাহ্যিক ভাবে দেখতে ভিন্ন ভিন্ন। ফুলটি দেখতে অনেক সুন্দর। বিভিন্ন বাহারি রঙ, সুগঠিত আকৃতি, মন মাতানো ঘ্রাণ ও স্থায়িত্বকাল এর ভিন্নতা নিয়ে অর্কিড সুন্দর ফুলের তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছে সহজেই। সমগ্র বিশ্বজোড়ে মানুষ তার ভালোবাসা, আভিজাত্য ও সৌন্দর্যের প্রতীক হিসাবে অর্কিড কে বিশেষ ভাবে মূল্যায়ন করে। আপনার গৃহকোণ, বারান্দা বা ছাদ বাগান সবখানেই শোভা বাড়াতে টবে অর্কিডের চাষ করতে পারেন।

পদ্ম

শালুক দেখতে পদ্মফুলের মতো হলেও শালুক পরিবারের সঙ্গে পদ্ম পরিবারের খুব একটা নিকটত্ব নেই। এদের পাতা দেখলে সহজেই পৃথক করা যায়। ভারতের জাতীয় ফুল বলে মনে করা হতো, সাংবিধানিক ভাবে তা নয়। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার একটি পদ্ম ফুলের কুঁড়ি।পদ্ম কন্দ জাতীয় ভূ-আশ্রয়ী বহু বষর্জীবী জলজ উদ্ভিদ। এর বংশ বিস্তার ঘটে কন্দের মাধ্যমে। পাতা জলের ওপরে ভাসলেও এর কন্দ বা মূল জলের নিচে মাটিতে থাকে। জলের উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে গাছ বৃদ্ধি পেতে থাকে। পাতা বেশ বড়, পুরু, গোলাকার ও রং সবুজ।

পাতার বোটা বেশ লম্বা, ভেতর অংশ অনেকটাই ফাঁপা থাকে। ফুলের ডাটার ভিতর অংশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য ছিদ্র থাকে। ফুল আকারে বড় এবং অসংখ্য নরম কোমল পাপড়ির সমন্বয়ে সৃষ্টি পদ্ম ফুলের। ফুল ঊধ্বর্মুখী, মাঝে পরাগ অবস্থিত। ফুটন্ত তাজা ফুলে মিষ্টি সুগন্ধ থাকে। ফুল ফোটে রাত্রি বেলা এবং ভোর সকাল থেকে রৌদ্রের প্রখরতা বৃদ্ধির পূর্ব পযর্ন্ত প্রস্ফুটিত থাকে। রৌদ্রের প্রখরতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ফুল সংকোচি

পদ্ম

ত হয়ে যায় ও পরবর্তীতে রৌদ্রর প্রখরতা কমে গেলে আবার প্রস্ফুটিত হয়। ফুটন্ত ফুল এভাবে বেশ অনেক দিন ধরে সৌন্দর্য বিলিয়ে যায়। পদ্ম ফুলের রং মূলত লাল সাদা ও গোলাপীর মিশ্রণ যুক্ত। তাছাড়া নানা প্রজাতির পদ্ম ফুল দেখা যায়। এর মাঝে রয়েছে লাল, সাদা ও নীল রঙের ফুল। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি প্রাকৃতিক জলাধার হাওর-বাঁওড়, খালে-বিলে ও ঝিলের জলে পদ্ম ফুল ফুটতে দেখা যায়। বর্ষা মৌসুমে ফুল ফোটা শুরু হয়।

টিউলিপ

টিউলিপ (বৈজ্ঞানিক নাম: Tulipa) পাত্রে চাষাবাদের উপযোগী এক প্রকার পুষ্পজাতীয় উদ্ভিদ। এছাড়াও এটি বাগানে কিংবা বাণিজ্যিকভিত্তিতে জমিতেও চাষ করা হয়। অনেক প্রজাতির উদ্ভিদ দেখা যায়। গৃহের অঙ্গসৌষ্ঠব বৃদ্ধিকারী ফুল হিসেবে এর সুনাম রয়েছে।বর্ষজীবি ও কন্দযুক্ত প্রজাতির এ গাছটি লিলিয়াসিয়ে পরিবারভূক্ত উদ্ভিদ। সংকরায়ণসহ টিউলিপের সকল প্রজাতিকেই টিউলিপ নামে ডাকা হয়। টিউলিপ প্রায় ১৫০ প্রজাতিতে বিভাজ্য এবং অগণিত সংকর প্রজাতি রয়েছে।টিউলিপ বর্ষজীবি ও বসন্তকালীন ফুল হিসেবে পরিচিত। এটি মুকুল থেকে জন্মায়।টিউলিপ

বিভিন্ন প্রজাতিতে এর উচ্চতা ভিন্নরূপ হয়।সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতায় টিউলিপ ফুলের জুরি মেলা ভার। খুব সহজেই টবে চাষাবাদের উপযোগী বলে গৃহের সাজসজ্জার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও টিউলিপ এর ব্যবহার অনেক বেশি।সমগ্র ইউরোপে অর্থকরী ফসল হিসাবে বাণিজ্যিক ভাবে টিউলিপের চাষ হয় এবং এক হল্যান্ডেই বছরে তিন বিলিয়নেরও অধিক টিউলিপ উৎপাদন ও রপ্তানী হয়। প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৭ লাখ পর্যটক ইউরোপে আসে চোখ ধাঁধানো টিউলিপের বিশাল বিশাল বাগান গুলো দেখতে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সমগ্র ইউরোপের উৎপাদিত ফুলের বাজার মূল্য প্রায় ১১ হাজার মিলিয়ন ইউরো।

চন্দ্রমল্লিকা

চন্দ্রমল্লিকা (ইংরেজি: Chrysanthemum; কখন কখন mums অথবা chrysanthsও বলা হয়, বৈজ্ঞানিক নাম: Chrysanthemum indicum L.) একটি অতি পরিচিত ফুল। এই ফুলের অনেকগুলো প্রজাতি রয়েছে। বেশিরভাগ প্রজাতির উৎপত্তি পূর্ব এশিয়া থেকে এবং এই ফুলের বৈচিত্র্যের কেন্দ্রস্থল হল চিনে।এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হয়। বিভিন্ন রংয়ের এই ফুলগুলোর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমূল্য রয়েছে প্রথম সারিতে।

চন্দ্রমল্লিকা

অক্টোবরে কুঁড়ি আসে এবং নভেম্বরে ফুল ফোটে৷ গাছে ফুল তাজা থাকে ২০ থেকে ২৫ দিন৷ ফুলদানি সাজানোর জন্য লম্বা ডাঁটাসহ এবং মালা গাঁখার জন্য ডাঁটা ছাড়া ফুল তোলা হয়। এই বৃহদাকৃতির ফুলগুলো সচরাচর সাদা, হলুদ, সোনালী , লাল, গোলাপি ও পটল বর্ণের হয়ে থাকে এবং সোনালী বর্ণের চন্দ্রমল্লিকা দেখলে মনে হয় যেন সোনা দিয়ে তৈরি। নজরকাড়া এই চন্দ্রমল্লিকা ফুল ফোটার সময় অক্টোবর এবং নভেম্বর মাস। এই সুন্দর ফুলের বিভিন্ন জাত হলো চন্দ্রমুখী, বাসন্তী, মেঘামী, চন্দমা, স্নোবল ইত্যাদি।

আরো পড়ুন: শুভ সকাল Good Morning বাংলা এসএমএস

চেরি

একপশলা বৃষ্টিস্নাত প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলেছে তার আপন রূপে। প্রাণ ফিরে পেয়েছে মৃতপ্রায় পাতাহীন গাছের ঢালগুলো। কোমল বাতাস ও সুন্দর ফুলের সঙ্গে উষ্ণ আবহাওয়া প্রকৃতির শান্ত-স্নিগ্ধ-অপ্রতিম মুগ্ধতার গন্ধে বলে দিচ্ছে দরজায় কড়া নাড়ছেবসন্ত। কোরিয়ানরা অপেক্ষায় থাকেন এই বসন্তের জন্য। কারণ, কোরিয়ায় হাজারো চেরি ফুলের কুঁড়ির প্রস্ফুটনে আগমন ঘটে এ সময়ে।chari

কোরিয়ার বসন্তের প্রধান আকর্ষণ হলো চেরি ফুল।সাধারণত গোলাপি, সাদা ও লাল রঙের ফুলের প্রাধান্য বেশি দৃষ্টিগোচর হয় চেরিতে। এক বিচিত্র গড়নের পাপড়ি দেখা যায় ফুলগুলোতে। সেই সঙ্গে গাছে গাছে আনন্দে মেতে ওঠে পাখপাখালি ও হরেক প্রজাতির রঙিন প্রজাপতি।কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে পৃথিবীর সেরা চেরি ফুলের রাজধানী হিসেবে আমেরিকার জর্জিয়া রাজ্যের ম্যাকন শহর বিখ্যাত। বসন্ত আসলেই চেরি ফুলে ছেয়ে যায় পুরো শহর। আপনি আপনার ভ্রমনের তালিকায় রাখতে পারেন এই শহর, সময় করে ঘুরে আসতে পারেন চেরি ফুলের রাজধানী থেকে কোন এক চেরি ব্লসম উৎসবে।

ব্লিডিং হার্ট

ফুলের নাম ব্লিডিং হার্ট (Bleeding Heart)মানে হূদয়ে রক্তক্ষরণ। আদি নিবাস পশ্চিম আফ্রিকা, পরিবার lamiaceae, বৈজ্ঞানিক নাম Clerodendrum thomsonae। ইংরেজি নামের মধ্যে Bleeding Glory Bower, Bag Flower উল্লেখযোগ্য।

ব্লিডিং হার্ট

এ ফুলের জনপ্রিয়তা বেশ সাধারনত ঠান্ডা আবহাওয়ায় এটি ভালো জন্মে। হৃদয় আকৃতির এই ফুলের রুপ লাবন্য এতোই সুন্দর যে একবার দেখলেই মনের ভেতর গেথে যাবে। এই ফুল সাধারনত গোলাপী, লাল, হলুদ এবং সাদা বর্ণের হয় কিন্তু গোলাপী পাপড়ি বিশিষ্ট ফুল গুলোই দেখতে বেশি সুন্দর।আবার এই ফুল কে উলটা করে চোখের সামনে ধরলে অন্য রুপে দেখা যায়, তখন তাকে বলা যায় লেডি ইন বাথ।

শাপলা

শাপলা (বৈজ্ঞানিক নাম: Nymphaeaceae) সপুষ্পক উদ্ভিদ পরিবারের এক প্রকার জলজ উদ্ভিদ। এ পরিবারভূক্ত সকল উদ্ভিদই শাপলা নামে পরিচিত। সাদা শাপলা ফুল বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। এই ফুল সাধারণত ভারত উপমহাদেশে দেখা যায়। হাওড়-বিল ও দিঘিতে এটি বেশি ফোটে।

sapla

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের কিছু জেলায় একে নাইল বা নাল বলা হয়।এই উদ্ভিদ প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। শাপলা ফুল নানা রঙের হয় যেমন, গোলাপী, সাদা, নীল ও বেগুনি এবং এর প্রায় ৩৫টি প্রজাতি আছে। প্রায় বছরের সব সময় শাপলা ফুটতে দেখা যায় তবে বর্ষা ও শরৎ এই উদ্ভিদ জন্মানোর শ্রেষ্ঠ সময়। থাইল্যান্ড ও মায়ানমারে এই ফুল পুকুর ও বাগান সাজাতে খুব জনপ্রিয়। আমাদের দেশে নীল শাপলা ফুলকে শালুক বা নীলকমল এবং লাল শাপলা ফুলকে রক্তকমল বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *