দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা আমরা অনেকেই জানি না। আমরা দারুচিনি মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকলেও দারুচিনির অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ‘প্লেথোরা’ নামক প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ দারুচিনি খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। দারুচিনি প্রদাহ ও ক্যান্সার রোধী, অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রভাব রয়েছে। খালি পেটে দারুচিনির পানি পান করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা
দারুচিনি একটি গুঁড়িয়া স্পাইস যা স্বাদ ও গন্ধের জন্য প্রযুক্ত। এটি মূলত দারুচিনি গাছের ছাল থেকে প্রাপ্ত হয় এবং খোসানো হয়ে তাত্ত্বিক মানে এর প্রভাব বাড়ানো হয়। এটি খাবারে ব্যবহার করা হয় স্বাদ যুক্তির জন্য, যেমন চা, কফি, ডেজার্ট এবং মিষ্টি। এটির সাথে ঔষধিগুণ ও প্রাকৃতিক উপকারিতা থাকতে পারে। দারুচিনি একটি বিশেষ স্পাইস খাবারে ব্যবহার করা হয়।
কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যবহারের উদাহরণ:
- খাবারে স্বাদ যোগ করতে: দারুচিনি স্বাদ বা গন্ধ বাড়াতে ব্যবহৃত হয় যেমন মিষ্টি, পুডিং, কেক, পাই ইত্যাদি।
- চা ও কফিতে: দারুচিনি চা বা কফির স্বাদ বা গন্ধ প্রযুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।
- রান্নার মধ্যে: দারুচিনি মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে মাংস, মুরগি, সবজি এবং ভাতের রান্নাতে স্বাদ যোগ করার জন্য।
- ঔষধিগুণ: দারুচিনির মধ্যে ঔষধিগুণ থাকতে পারে যা ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ, হৃদয়ের স্বাস্থ্য, শরীরে সারস্যব নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি উপকারিতা দিতে পারে।
- লোবন্য বা তেজপাতা: দারুচিনির পাতা বা তেজপাতা রান্নার মধ্যে ব্যবহৃত হতে পারে করি পাতা, মসলা, চায় ইত্যাদি রান্নাতে।
দারুচিনির ব্যবহারে স্বাস্থের উপকারিতা:
৪। ওজন হ্রাস: দারুচিনির পানি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটা পানির সাহায্যে দেহের চর্বি কোষ ভেঙে দেয়। খালি পেটে নিয়মিত দারুচিনি পানি পান করলে ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া
৫। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: দারুচিনি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সুপরিচিত যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত দারুচিনির পানি পান রক্তের শর্করার ওঠা নামা নিয়ন্ত্রণ সহায়তা করতে পারে
৬। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: দারুচিনি ‘ট্রাইগ্লিসারাইড’ ও এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে। এতে ধমনী অবরুদ্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে, ফলে হৃদপিণ্ডের ওপর চাপ কমাতে সহায়তা করে।
৭। হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখে: দারুচিনির কোলেস্টেরল কমানোর ক্ষমতা হৃদ ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত দারুচিনি পানি পান হৃদস্বাস্থ্য ভালো রেখে হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়।
৮। রোগ প্রতিরোদ ক্ষমতা বাড়ায়: দারুচিনি প্রদাহ ও ব্যাক্টেরিয়া রোধী উপাদান সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। নিয়মিত দারুচিনির পানি পান অসুস্থতা ও সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে আনে।
৯। বিষাক্ত উপাদান বের করে দেওয়া: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয় এবং শরীরকে ‘ফ্রি রেডিকেল’য়ের কারণে হওয়া ক্ষয় কমাতে সহায়তা করে।
১০। হজমক্রিয়া উন্নত করতে: দারুচিনি হজম উন্নত করে ফোলাভাব কমায়। দারুচিনি পানি পান হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে ও বমি বমিভাব কমায়।
তৈরি পদ্ধতি:
একটা পাত্রে এক কাপ পানি ফুটিয়ে একটা দারুচিনির লাঠি পাঁচ থেকে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। কাপে পানি ঢেলে সাথে মধু ও লেবু যোগ করে নেওয়া যায়। চাইলে এই পানি স্বচ্ছ বোতলেও সংরক্ষণ করা সম্ভব।
সতর্কতা: অনেকের আবার দারুচিনির পানি পান করলে দ্রুত ওজন কমে যায়। আবার অনেক সময় হজমশক্তি জনিত সমস্যা সৃস্টি তৈরি করতে পারে ।
আমরা প্রতমবার অল্প পরিমাণে দারুচিনির পানি পান করে দেহের কার্জ প্রতিক্রিয়া দেখে নিব। কয়েকদিন পর দেখতে হবে শরীরে কোন পাশ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কি না দেকতে হবে ।
আমরা দারুচিনির পানি পান করলে উপকার পাবো কিন্তু মাত্রা অতিরিক্ত হলে আমাদের শরীরের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে আমাদের শরিরের প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা দারুচিনির পানি পান করব।
আরো পড়ুন: তোকমা দানার ৭টি বিশেষ গুনাগুন
এরকম আরো সুন্দর সুন্দর লেখা পেতে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন । আপনার কমেন্টের উপর ভিত্তি করে নতুন নতুন পোস্ট তৈরি করতে আমাদের উৎসাহিত করবে ।