এখন পর্যন্ত ১৬ মৌসুমের ১৪টিতেই খেলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি তারা। ২ আসরে খেলাতে পারেনি তারা নিষেধাজ্ঞার কারণে।

এখন পযন্ত ১৪ মৌসুমের ১০টিতেই ফাইনাল খেলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। আর এতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনির। সর্বদা মাঠে ধীর স্থির সূক্ষ বুদ্ধি চালিয়ে থাকেন তিনি। নিয়মিত খেলোয়াড়দের দেখান সঠিক পথ। সর্বোপরি, পরিকল্পনা করে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ফাঁদে ফেলাতে পারেন তিনি ।আর তাই তাকে সমর্থকরা ডাকেন ক্যাপ্টেন কুল বলে।ধোনির ভয়ংকর অজানা রূপ সামনে আনলেন ডি ভিলিয়ার্স

আর এবার সেই ক্যাপ্টেন কুল ধোনির ভয়ংকর অজানা তত্ত সবার সামনে আনলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকা ৩৬০ডিগ্রী ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স।গত মঙ্গলবার রাতে প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয় গুজরাট টাইটানস এবং চেন্নাই সুপার কিংস চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে । ওই ম্যাচে গুজরাটকে ১৫ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে আইপিএলের সফল দল চেন্নাই সুপার কিংস।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন আবহে ধোনির ভয়ংকর দিক তুলে ধরেন ডি ভিলিয়ার্স। ভারতীয় জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে খেলেছেন তিনি। তার মতে, চিপকের মাঠে ধোনি ও চেন্নাইয়ের উপস্থিতি বাকি দলগুলোর কাছে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মূলত, এজন্যই সেখানে অপ্রতিরোধ্য ধোনি বাহিনী।

আরও পড়তে পারেন : ১১ বছর পরে বার্সা ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা জর্দি আলবার

আমি মনে করি, চিপকে ধোনির উপস্থিতিই প্রতিপক্ষের ভয়ের মূল কারণ জিও সিনেমাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রোটিয়া কিংবদন্তি এ কথা বলেন। সেটা মাঠের কারণেও হতে পারে। এ মাঠে বিপক্ষ দল খেলতে এলেই একটা ভাবনা নিয়ে আসে,তাদের অসাধারণ খেলতে হবে অন্যথায়, চেন্নাই সুপার কিংস কে হারানো যাবে না।
ডি ভিলিয়ার্স যোগ করেন, আমরা যদি সব ম্যাচের স্কোরবোর্ড দেখি, তাহলে বুঝতে পারব অনেক ম্যাচেই হারের ব্যবধানটা সামান্য। মাত্র ১০-১৫ রানের পার্থক্য রয়েছে। এ মাঠে সাধারণত ধোনি এবং তার দল সবকিছু ঠিকঠাকভাবে করে।

ধোনির ভয়ংকর রূপ এটিই। সে খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চটা বের করে আনে। ৩৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার বলেন, চেন্নাই যখন ফাইনালে খেলে, দেখবেন তখনও তারা তাদের সেরা পারফরম্যান্সটা উজাড় করে দেয়ার চেষ্টা অনিবার্য চালিয়ে যায়।
মহেন্দ্র সিং ধোনী একাধিক সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ২০০৮ ও ২০০৯ সালে আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেটের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান। তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া তিনি ভারতের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান রাজীব গান্ধী খেলরত্ন ও দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী পেয়েছেন।মহেন্দ্র সিং ধোনী ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও উইকেটরক্ষক হিসেবেই বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গনে সর্বাধিক পরিচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *