একের পর এক অবসরের চলে যাচ্ছেন নারী ফুটবল দলের সদস্যরা। আজই জাতীয় দল থেকে সাফজয়ী দলের অন্যতম স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্না। তাঁর অবসরের মধ্যেই বড় খবর এল, জাতীয় নারী দলের সফল কোচ গোলাম রব্বানীও সরে যাচ্ছেন। কোচের দায়িত্ব ছাড়ছেন তিনি।
গোলাম রব্বানী আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আর কোনো টুর্নামেন্ট করব না জাতীয় দলের হয়ে। বিষয়টি আমি অফিসিয়ালি চিঠি দিয়ে কয়েক দিনের মধ্যে জানিয় দেব বাফুফেকে। বলতে পারেন আমি আর এ মাসটা আছি। আগামী মাস থেকে নারী দলের দায়িত্বে আর থাকছি না। তবে
নিজের হাতে গড়ে তোলা মেয়েদের হতাশা আর সহ্য করতে পারলেন না গোলাম রব্বানী ছোটন। এর সঙ্গে মেয়েদের ফুটবল এগিয়ে নিতে দীর্ঘ ১৪ বছর যে শ্রম-ঘাম দিয়েছেন, তার মূল্যায়নও হয়নি। সব কিছু মিলিয়ে ক্লান্তি-হতাশা পেয়ে বসেছিল তাকে। তাই তো হুট করেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ছোটন।
আগামী ১ জুন থেকে তিনি আর থাকছেন না নারী ফুটবলের দায়িত্বে। বিষয়টি শুক্রবার নিজেই দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন ছোটন।
কেন এই সিদ্ধান্ত, জানতে চাইলে বলেন, ‘অনেক তো করলাম। অনেক চাপ। পারিবারিক জীবন আছে। বন্ধুবান্ধব আছে। কাউকেই সময় দেওয়া হয়নি। ওদিকে মহিলা দলের ওপর সবার প্রত্যাশা বাড়ছে। আমি মনে করি, অনেক হয়েছে। এবার সরে যাই। এ কারণে আমি আর মেয়েদের কোচ হিসেবে থাকছি না।’
আরও পড়ুন: বর্ণবাদের শিকার হওয়া ভিনিসিয়ুস ভুগলেও পরবর্তী প্রজন্মকে ভুগতে দেবেন না
বাফুফের চাকরি ছাড়লেও নারী ফুটবল নিয়ে কাজ করতে চান। যুক্ত হতে চান কোনো ক্লাবের সঙ্গে। প্রিয় কোচের বিদায়ের খবরে পাথর হয়ে গেছেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ফুটবলাররা। তাদের জন্য এ খবর যে অনেক বড় ধাক্কা। সালাউদ্দিনদের কাছে ছোটন কিছু না। তবে সাবিনাদের কাছে তো ছোটনই সব। সেই কোচই যখন থাকছেন না, তখন তো হতাশায় ভেঙে পড়া স্বাভাবিকই।
এক যুগ ধরে নারী দলের সহকারী কোচ, প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। এনে দিয়েছেন অনেক সাফল্য। বাংলাদেশের নারী ফুটবলের প্রতীক বলা যায় তাঁকে। সেই তিনি সব কথা মুখে না বললেও বোঝা যায় কোথাও একটা অভিমান আছে। যোগ্য সম্মান না পাওয়ার আক্ষেপ আছে।