পেপটিক আলসার ডিজিজ, কিন্তু স্ট্রিক আলসার ডিজিজ নামে সব চেয়ে বেশি পরিচিত। কেউ যদি টানা দীর্ঘদিন ধরে অ্যাসপিরিন এবং ইবুপ্রোফেন বা অ্যাস্টেরয়েড ভিন্ন কোনো প্রদাহজনিত ওষুধ ব্যবহার করেন তাহলেও পাকস্থলিতে আলসার হয়। সাধারণত হেলিকোব্যাকটর পাইলোরি জীবাণু দিয়ে পাকস্থলীর আলসার হয়। জীবনের কোনো এক পর্যায়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেননি, এমন মানুষ কম আছে ।
পেপটিক আলসার ডিজিজ বা গ্যাস্ট্রিক আলসার জটিল কোনো রোগ নয়। ব্যাপারটি বলা যত সহজ যিনি এই রোগের ভুক্তভোগী তার জন্য ব্যাপারটি খুব কষ্টের। আক্রান্ত ব্যক্তি সারাক্ষণ,শারীরিক অস্বস্তিতে ভুগে থাকেন। ডাক্তারের পরামর্শ মত মেডিসিন গ্রহণের পাশাপাশি সঠিক এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করলে আলসারের ভোগান্তি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
আলসারের লক্ষণ
- রক্তাক্ত বমি
- ওজন কমানো
- পূর্ণ অনুভূতি
- ফোলা
- ব্যথার কারণে খাওয়া যাচ্ছে না
- রক্তাল্পতা
- বেলচিং বা অ্যাসিডিটি
- অম্বল
- বেলচিং বা অ্যাসিডিটি
- পেটে ব্যাথা
কিছু খাবার আছে আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে লড়াই করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন কয়েকটি খাবার
আলসার প্রতিরোধে কয়েকটি খাবার
মেথি
ওষুধ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে মেথি। সম্পূরক খাবার হিসেবেও অনেকে মেথি খেয়ে থাকেন। খাদ্যটির কার্যকারিতার সঙ্গে অ্যান্টাসিডের কার্যকারিতার মিল আছে।দুই কাপ পানিতে এক চা-চামচ মেথি বীজ সিদ্ধ করে নিতে হবে। এক সপ্তাহ প্রতিদিন দুবেলা করে পান করতে হবে।
আরো পড়ুন :তোকমা দানার ৭টি বিশেষ গুনাগুন
নারিকেল
নারিকেলে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ায়। আলসারে নারিকেল শাঁস ওষুধ হিসেবে কাজ করে। নারিকেলের দুধ ও পানিতে ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণ আছে, যা আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
বাধাকপি
বাধাকপি আলসার প্রতিরোধে বিশেষভাবে সহায়ক। পাকস্থলীর আস্তরণে রক্তপ্রবাহ সচল রাখতে উপকারী এই সবজি। বাঁধাকপির রস আলসারের জন্য সবচেয়ে উপকারী প্রাকৃতিক ওষুধ। রাতের খাবার খাওয়ার আগে সদ্য তৈরি বাঁধাকপির শরবত পান করতে পারেন। এ জন্য বাধাকপি খাওয়া উত্তম। ফাইলরি’ ব্যাকেটেরিয়ার সংক্রমণ
কলা
কলা যেমন পুষ্টিকর, তেমনই সুস্বাদু।কলাতে থাকে পুচর পরিমান উপাদানে যা পাকা ও কাঁচা দুই অবস্থাতে থাকে যা প্রচুর ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান পেটের আলসারের জন্য দায়ী ‘এইচ.ফাইলরি’ ব্যাকেটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করে। তাই পেটের আলসারে হলে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দিনে তিনটি করে কলা খেতে পারেন।
মধু
সুদীর্ঘকাল ধরে খাদ্যের পাশাপাশি ওষুধের বিকল্প হিসেবে মধু ব্যবহার হয়ে আসছে । ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানো এবং ক্ষত সারানোর পাশাপাশি মধু পাকস্থলির আলসারও সারায়। আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া হেলিকোব্যাকটার পাইলোরির উৎপাদন প্রতিরোধ করে মধু। কেউ কেউ মধুকে মিষ্টির সুস্বাদু ও পুষ্টিকর বিকল্প হিসেবে দেখেন আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া হেলিকোব্যাকটার পাইলোরির উৎপাদন প্রতিরোধ করে মধু। দই প্রতিদিনি সকালে এক চামচ মধু খান।
দই
দই শুধু মজার খাবারই নয়, এটি স্বাস্থ্যকরও বট । হজম প্রক্রিয়ায় ভালো এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে । দইয়ে উপস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করার পর রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে সংক্রমণ থেকে ভাইরাল ফিবার, কোনো কিছুই ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না তাই নিয়মিত দই খাওয়ার প্রয়োজনয়ীতা যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
রসুন
অতিমারি পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুব জরুরি, তাই প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবংআলসার প্রতিরোধ করে। এটি আলসার হতে বাধা দেয় এবং দ্রুত নিরাময়েও কাজ করে। এই ব্যাকটেরিয়া পেপটিক আলসার সৃষ্টি করে।তাই পেপটিক আলসারের ক্ষেত্রে প্রতিদিন রসুন মধু দিয়ে চিবিয়ে খেতে পারলে খুবই ভালো।
আরো পড়ুন : যে ৭টি তেল চুলের যত্নে বেশি কার্যকরী
পেটের আলসার প্রতিরোধে কয়েকটি খাবার অনেক উপকার করে থাকে। এটি প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহারিত হয়ে আসছে। এর অনেক গুনাগুন যা বলে শেষ করা যাবে না। আমরা আপনাদের সুবিদার্থে এর কিছু উপকার সম্পর্কে তুলে ধরলাম। আশা করা যায় আলসারে মুক্তি পাওয়া যাবে। এই পোস্ট সম্পর্কে যদি আরো কিছু জানার থাকে আমাদের কাছ থেকে, তাহলে কমেন্ট করতে পারেন। আমরা যথেষ্ট সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ