নতুন অর্থ বছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি করে ৭২ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। এরমধ্যে পণ্য খাতে ৬২ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার।২০২৩-২৪ অর্থবছর: রপ্তানি আয় বাড়ানোর লক্ষ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়|এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।

অর্থবছরের

২০২৩-২৪ অর্থবছর; রপ্তানি আয় বাড়ানোর লক্ষ্য

বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভা সম্মেলন কক্ষে নতুন অর্থবছরের রপ্তানি  ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকের এ তথ্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।তিনি আরো বলেন, এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবান  হলেও গ্যাস ও বিদ্যুতের নিশ্চয়তা দেওয়া গেলে তা অর্জন করা সম্ভব।

বৈশ্বিক প্রতিকূলতার পরও ভালো রেজাল্ট এসেছে। গত বছর কিন্তু গ্যাসের সমস্যা হয়েছে, গ্যাসের দাম বেড়েছে, এমন সমস্যার পরও ভালো অর্জন হয়েছে। আমরা গত বছরের টার্গেট অ্যাচিভ করতে না পারলেও তার আগের বছরের চেয়ে বেশি অর্জন হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের রপ্তানি সম্ভব হয়েছিল যেটি আগের বছরের চেয়ে ৬.৭ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাকে প্রায় ১০ ভাগ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। নিট পণ্যে একটু বেশি। কিন্তু চামড়াসহ অন্যান্য খাতে কিছু ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হওয়ায় সামগ্রিক ৬.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।সব মিলিয়ে গেল অর্থবছর রপ্তানি থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য ছিল। এবার তা ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ বাড়ছে।

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ অনুষ্ঠানে বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পরিকল্পনামাফিক নতুন রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী হলেও পণ্য রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আসেনি।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রাখা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন নির্বাচন এলে খাওয়া তো বন্ধ হবে না। এটি স্বভাবিক প্রক্রিয়া। নির্বাচন এলে সব বন্ধ থাকবে না। তবে শুধু খবর রাখবেন আগুন টাগুন না দেয়।

তিনি বলেছেন  নভেম্বর থেকে হয়তো বৈশ্বিক মূল্য কমে আসবে, ফলে নভেম্বর থেকে সারা বিশ্বব্যাপী আমাদের চাহিদা বাড়বে। তার প্রেক্ষিতে আমরা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। আমরা দেখেছি, আমেরিকা এবং জার্মানিতে চাহিদা কমে গেলেও অন্যান্য দেশে আমাদের প্রবৃদ্ধি ভালো।

আরো পড়ুন : যে ১০টি উপদেশের মাধ্যমে সহজে ধনী হতে পারবেন

ভবিষ্যতে ভালো কিছুর আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমেরিকা এবং ইউরোপে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় আমাদের পণ্যের চাহিদা কমে গেছে। বিশেষ করে ইউরোপের জার্মানিতে রপ্তানি বেশ কম হয়েছে। তবে এসব দেশে এখন মূল্যস্ফীতি কমে আসছে। নভেম্বর থেকে হয়ত বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি আরও কমে আসবে। ফলে নভেম্বর থেকে হয়ত সারা বিশ্বব্যাপী আমাদের চাহিদা বাড়বে। সেই প্রেক্ষিতে আমরা লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করেছি।

বাজেট সংবাদ সহ আরও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত নিউজ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমরা বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এর নতুন নতুন সংবাদ প্রচার করে থাকি। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটা ফল করতে পারেন। উপরোক্ত সংবাদটি সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করুন।

ধন্যবাদ ,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *