দুধ হচ্ছে পুষ্টি সমৃদ্ধ তরল খাদ্য। সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী দুধ। এটি তরল খাদ্য হওয়া সত্বেও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটিকে খাদ্য এবং পানীয় হিসেবে এভাবে আখ্যায়িত করেছেন যে, একই সঙ্গে পান ও আহারের জন্য যথেষ্ট হওয়ার মতো দুধের বিকল্প কোনো খাবার নেই। সে কারণে দুধ পান ও খাবার গ্রহণ সম্পর্কে এক হাদিসে তুলে ধরেছেন বিশ্বনবি।
আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও দুধ পান করতে পছন্দ করতেন। ইমাম তিরমিযি রহ. এর বর্ণিত একটি হাদিস থেকেজানা যায়, দুধ ছিলো রাসুলুল্লাহ সা. এর সবচেয়ে পছন্দের পানীয়সমূহের একটি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দুধ ছাড়া অন্য কোনো পানীয়র মধ্যে খাদ্য ও পানীয়ের উপাদান একসাথে পাওয়া যায় না।
বর্ণিত হয়েছে, হজরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম মেরাজের রাতে রাসূলুল্লাহর (সা.) সামনে দুটি পানীয় পেশ করেন। তার একটি দুধ এবং অন্যটি মধু। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামকে যেকোনো একটি গ্রহণের কথা বলেন হজরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম। তখন তিনি পানীয় হিসেবে দুধ গ্রহণ করেন
নবীজি সা. দুধ পান করার পর একটি বিশেষ দোয়া পাঠ করতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, যখন তোমাদের কেউ দুধ পান করে, এই দোয়া পাঠ করবে।
দুধ পানের দোয়া
اَللَّهُمَّ بَاركْ لنَا فِيْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিহি ওয়াজিদনা মিনহু।
অর্থ : হে আল্লাহ! এই খাবারে আমাদের বরকত দিন এবং তা বাড়িয়ে দিন।
উপকার : আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন তোমাদের কেউ দুধ পান করবে, এই দোয়া পাঠ করবে।
এ হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কয়েকটি বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন। দুধকে পুষ্টিকর খাবার ও পাণীয় হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। আজকের বিজ্ঞানেও তা প্রমাণিত। ফলে দুধ পানের সময় উল্লেখিত দুইটি দোয়া-ই পড়া উত্তম। তাছাড়া ডান দিক থেকে খাবার গ্রহণ ও পরিবেশনের তাগিদও ওঠে এসেছে