আমরা অনেকেই জানি প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের আশেপাশে থাকা অনেক ভেষজ গাছ-গাছলা, উদ্ভিদ বা বিভিন্ন তরুলতা নানা ঔষধি কাজে মানুষ জন ব্যবহার করে আসছে এবং এর সঠিক ফল পাচ্ছে। এখন বিশেষ করে দিন দিন আয়ুর্বেদিক এমনকি ইউনানি ওষুধের ক্ষেত্রে এসব গাছ-গাছড়ার ব্যাপক ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের গবেষকরা বলছেন, আমাদের চারপাশে থাকা অনেক গাছের ঔষধি গুণ রয়েছে। যা গ্রামাঞ্চলের মানুষজন এগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ব্যবহার করেছেন। এখন বাংলাদেশী গবেষকদের তাদের গবেষণায় এগুলোর নানা গুণাগুণ দেখতে পেয়েছেন। আর এসব অনেক গাছই আমাদের ঘরের আশেপাশে, অযত্নে, অবহেলায় বড় হয়ে ওঠে। এমনকি অনেক গাছ ও উদ্ভিদ সংরক্ষণের অভাবে এখন হারিয়ে যেতেও বসেছে।

ভেষজ গাছ

                      ২৫ টি ভেষজ গাছের উপকারিতা

১. চিরতা

চিরতা অনেক রোগের উপকারিতা করে থাকে। এই গাছের পাতা ডায়াবেটিস রোগীরা খেয়ে থাকেন। চিরতার পাতাগুলো গুড়ো করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অনেকে খেয়ে থাকেন। মানুষের পেট খারাপ, ডায়রিয়া, জ্বর ও বাত ব্যথার ক্ষেত্রে সাধারন্ত্ব পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া হয়।

চিরতা খাওয়ার উপকারিতা

২. মেন্দা

আমাদের দেশে এই গাছটি অঞ্চলভেদে কারজুকি, চাপাইত্তা, রতন, খারাজুরা নামেও পরিচিতি রয়েছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এখনো পেটের পীড়া এমনকি রক্ত-আমাশা হলে পাতা বেটে পানিতে মিশিয়ে দুইবেলা খাওয়া হয়। চিকিসাকরা গবেষণায় দেখা গেছে, মেন্দা গাছ কঠিন ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পাড়ে।

এই গাছের সমগ্র টাই ব্যবহিত হয় যেমন- বাকল ও পাতা উভয়ই। এই মেন্দা একসময় হাড় ভেঙ্গে গেলে ছালের মিশ্রণ স্থানীয়ভাবে প্লাস্টারিংয়ে ব্যবহার করা হতো। আবার অনেক সময় বুকের ব্যথার জন্য মালিশ করা হয়।

৩. বনধনে

এই গাছ টি এমন ঔষধী যা পেটের ব্যথা ও ডায়রিয়ার ওষুধে কার্যকর। এই গাছটি ঘা-পাঁচড়ার ক্ষেত্রেও অনেক কার্যকারিতা পাওয়া যায় । এই গাছের পাতার মিশ্রণ ঘা-পাঁচড়ার লাগানো হয়। এতে দ্রুত্ব সেরে যায়

৪. ভাট ফুল বা বনজুঁই

এই গাছটি সাধারন্ত্ব কৃমিনাশক এবং ডায়রিয়ার জন্য কাজ করে। তবে কাচা হলুদের সঙ্গে পাতার রস মিশিয়ে খাওয়া যায়। এই ভাবে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। যাদের চর্ম রোগ রয়েছে, তারা এই ফুলের রস মালিশ করে করতে পারেন।

৫. নিম

নিম গাছ এর পাতা ডায়াবেটিসের রোগীরা শুকিয়ে ছোট ছোট ট্যাবলেট বানিয়ে সকাল বিকেল খেয়ে থাকেন। এছাড়া এই পাতা বহুকাল থেকে চিকেন পক্স, চামড়ার অ্যালার্জির মতো সমস্যায় নিমের পাতা গরম পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনকি পোকা মাকড়ের কামড়ের ক্ষত হলে, সেখানে নিম আর হলুদের রস একসাথে মিশিয়ে লাগানো হয় থাকে। দাঁতের ব্যথার এবং মাড়ির ব্যাথা জন্য নিমের ডালের রস ব্যবহার করা হয় থাকে।

নিমপাতার ভেষজ গুনাগুন, উপকারিতা ও ব্যবহার

৬. তুলসী

তুলসি গাছ বাংলাদেশের অনেকের কাছেই একটি পরিচিত নাম। হিন্দু দের বাড়িতে সব সময় পাওয়া যায়। বিশেষ করে গ্রামের অনেক বাড়িতেই দেখা যায়। তুলসি সর্দিজনিত রোগে এই গাছটির পাতা খাওয়া হয়। আবার অনেকে চায়ের সঙ্গেও ভিজিয়ে খান। কেউ যদি তুলসী পাতা ভেজে ঘি দিয়ে নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

তুলসি পাতার ভেষজ গুণাগুণ, উপকারিতা ও ব্যবহার সমূহ

৭.নয়নতারা

নয়নতারা ফুলের মধ্যে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় যেমনঃ মানসিক চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করতে পাড়ে।মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ঘটায়। রক্তক্ষরণ হ্রাস করতে সহেতা করে। অনিদ্রা দূরীকরণে সহেতা করে। হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে। ব্লাডপ্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এমনকি অ্যাংজাইটি কমাতেও সমান কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

নয়নতারা ফুলের উপকারিতা
নয়নতারা ফুলের ছবি

৮. তকমা

এই খাদ্য টি হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক ও ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

৯. কেশরাজ বা কালোকেশী

বেশির ভাগ ভারত উপমহাদেশে বহুকাল ধরেই চুলের যত্নে এই গুল্মজাতীয় গাছটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই কেশরাজ এটি চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে বলে বিশ্বাস করা হয়। গবেষণার সময় অনেকে বলেছেন, মেয়েদের মাসিকের সমস্যায় অনেকে এই পাতার রস খেয়ে থাকেন। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে এটা ছত্রাকরোধী বা অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসাবে প্রমাণিত হয়।

১০. বাসক

বাসক পাতা নানা ধরনের উপকারিতা আছে তার মধ্যে -ঠাণ্ডার জন্য এবং ফুসফুসের নানা সমস্যায় বাসক পাতার রস ফুটিয়ে সেই রস বা পানি খাওয়ানো হয়। আবার শ্বাসনালীর সমস্যায় লালাগ্রন্থিকে বাসক পাতার রস সক্রিয় করে বলে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে। তবে এটি অধিক মাত্রায় খেলে বমি ভাব হতে পারে। অতএব এটি অধিক মাত্রায় খাওয়া যাবে না।
বাসক পাতার উপকারিতা

১১. পাথরকুচি

গ্রাম বাংলার একটা প্রচলিত ধারণা আছে, পাথরকুচি কিডনির পাথর ভাঙ্গতে সহায়তা করে। যদিও এখন পযন্ত এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি।কিন্তু ব্যবহারকারীরা গবেষকদের কাছে বলেছেন, জ্বর ও পেট ফাঁপার মতো সমস্যায় পাথরকুচির পাতা বেটে খেয়ে তারা অনেক উপকার পেয়েছেন। ত্বকের বা চামড়ার অ্যালার্জির জন্যও এটি বেটে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় পাথরকুচির পাতার রস ব্যবহার করা হয়। এটি প্রকৃতিক ভাবে অনেক উপকারিতা আছে।

patharkuchi

১২. অর্জুন

আমরা সবাই জানি অর্জুন গাছের মূল, কাণ্ড, পাতা, ছাল, ফল ও ফুল বিভিন্ন ঔষধি হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন- বুকে ব্যথা, হৃদরোগ জন্য অর্জুনের ছাল গুড়ো করে খেয়ে থাকে। বিশেষ করে এই অর্জুনের গুড়ো এবং বাসক পাতার সঙ্গে মিশিয়ে খেলে দ্রুত্ব যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বলে মনে করা হয়। এমনকি কোন যায়গায় মচকে গেলে বা হাড়ে চিড় ধরলে রসুনের সঙ্গে মিশিয়ে অর্জুনের ছাল বেটে সেই স্থানে লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা

১৩. রিফিউজি লতা

এই ভেষজ গাছটি একেক অঞ্চলে একেক নামে পরিচিত। কিন্তু বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র এই লতা গাছটি দেখা যায়। মানুষের শরীরে কেটে গেলে রক্তপাত বন্ধ করতে সহায়তা করে।

১৪. জবা

জবা গাছের সম্পর্কে অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানি না যে পেট খারাপের জন্য জবা গাছের পাতা ও ফুল গরম ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়। এমন কি জন্ডিসের জন্য পাতার জুস খাওয়া হয়। অনেক সময় নারীরা মাসিক ও স্রাবজনিত সমস্যার জন্য এই ফুলের রস খেয়ে থাকেন।

৫. লজ্জাবতী

লজ্জাবতী গাছটি আমরা সবাই কম বেশি চিনে থাকি। তবে অনেকে একে লাজুক লতা বা অঞ্জলিকারিকাও বলে থাকেন। অনেক সময় এই গাছের শেকড় বেটে গুড়ো করে ডায়রিয়ার জন্য খাওয়া হয়ে থাকে। লজ্জাবতী গাছের পাতা ঘা-পাঁচড়া নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। গ্রাম গঞ্জের মানুষ এই পাতা ও ফুল বেটে শরীরের ক্ষতের স্থানে ব্যবহার করে থাকে। এমনকি বাতজ্বর বা হাড়ের ব্যথায়ও এই গাছটি বেটে দিলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া আরো অনেক রোগের কার্যকারিতা পাওয়া যায় যেমনঃ আমাশয়, এমনকি হাত-পায় জলুনির জন্য অনেকে লজ্জাবতী গাছের মিশ্রণ ব্যবহার করেন।

১৬. দূর্বা ঘাস

এই ঘাস কম বেশি সকলেই চিনে থাকি মাঠে, ঘাটে, রাস্তার এই ঘাস অবাধে জন্মালেও অনেকেরই এর ঔষধি গুণের কথা জানা নেই। যে সব এই ঘাসের উপকারিতা পাওয়া যায় তাহলো রক্তক্ষরণ, আঘাতজনিত কেটে যাওয়া, চর্ম রোগে এই ঘাসের রস অনেক উপকারী। আবার কোথাও কেটে গেলে এই পাতার রস লাগালে রক্তপাত তাৎক্ষণিক বন্ধ হয়ে যায়। দূর্বা ঘাসে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

১৭. থানকুনি

থানকুনি সম্ভবত গ্রামের সকলেই চিনে থাকে। এটি বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত একটি ঔষধি উদ্ভিদ। তবে খুবই সাধারণ যেকোনো পেটের ওষুধের জন্য থানকুনি পাতা কার্যকরী। এই পাতা বেটে রস বা ভর্তা করে খাওয়া হয়। এই পাতা মানুষের হজম শক্তি বাড়ায়, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং চুল পড়া কমায়, এমনকি মানুষের শরীরের ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিশেষ ভুমিকা পালন ক্রে থাকে।

Rules for eating thankuni leaves

১৮. স্বর্ণলতা

এই লতানো গাছটি জন্ডিস নিরাময়, তলপেটের ব্যথা কমানো, ও ক্ষত উপশমে কাজ করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। এই লতা সেদ্ধ করে পানি খাওয়া হয়। স্বর্ণলতা পানি পিত্তনাশক ও কৃমি দমনে সহায়তা করে। এই লতার আরো একটি কার্যকারিতা রয়েছে তা হলো ব্যাকটেরিয়া দমনেও এটি সহায়ক। কিন্তু এই স্বর্ণলতা রস অনেক সময় গর্ভপাত, বা প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয় বলেও ধারণা করেন।

১৯. শতমূলী

শতমূলীতে উচ্চমানের ফলিক এসিড ও পটাশিয়ামের প্রাকৃতিক উৎস। এতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন এ ও ভিটামিন বি রয়েছে। এটি গাছ বন্ধ্যাত্ব নিরাময় ও শক্তিবর্ধক হিসাবে কাজ করে। একই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।

Benefits of eating asparagus

২০. ধুতুরা

ধুতুরা গাছটি গ্রাম গঞ্জে অনেক দেখা যেতো এখন আর তেমন দেখা যায় না। এটা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। এই ধুতুরা গাছের পাতা অনেকে অ্যাজমার জন্য ব্যবহার করতেন।

২১. বিলিম্বি

এই কামরাঙ্গা গোত্রের একটি ফল হলেও এটি আলাদা ধরণের একটি ফল। এই ফল মানুষের ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে প্রমাণিত। কোন এক গবেষণায় দেখা গেছে, এর ভেতরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। বিভিন্ন রোগের কার্যকারিতা পাওয়া যায় যেমনঃ চুলকানি নিরাময়, মাম্পস, চামড়া ফাটা, যৌনরোগ চিকিৎসায় অনেক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক এই গাছের ফল ও পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু যাদের কিডনির রোগ রয়েছে, তাদের জন্য এই ফল বা পাতা ক্ষতিকর।

২২. পুদিনা

পুদিনা পাতা অনেক উপকারিতা রয়েছে তা আজকে আমরা ব্যবহার জনবো। এই পাতা বিভিন্ন রোগের কার্যকারিতা ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমনঃ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। ত্বক উজ্জ্বল করেমহিলাদের স্তনের যত্নে ও প্রেগন্যান্সিতে। সর্দিকাশি নিরাময় করে। বমিভাব দূর করে । মাসিকের ব্যথা দূর করে। অবসাদ ও ডিপ্রেশন দূর করে। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে ক্যান্সার নিরাময় করতে পাড়ে ইত্যাদি রোগের কার্যকারিতা পাওয়া যায়।

২৩. ধনিয়া

ধনিয়া পাতা এমন একটি উদ্ভিদ যা মানুষের অনেক উপকার করে থাকে আবার অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে অনেক ক্ষতি হতে পাড়ে। সেই বিষয় গুলো নিয়ে আমরা আজকে সংক্ষিত আলোচনা করবো। ধনিয়া পাতা কি কি উপকারিতা চলুন তাহলেঃ ধনিয়া পাতা হজমের জন্য উপকারী। পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে থাকে। এটি খেলে ডায়াবেটিসের কার্যকারিতা পাওয়া যায়। আলসার নিরাময়েও উপকারীতা পাওয়া যায়। এমনকি মহিলাদের ধনিয়া পাতায় ঋতুস্রাবের উপকারিতা পাওয়া যায়। আবার এটি বেশি খেলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। এটি খেলে নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি করতে পাড়ে। এমনকি পেট খারাপ ও শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি করে থাকে।

২৪. অশ্বগন্ধা

অশ্বগন্ধা একটি বহুল অপরিচিত ভেজষ উদ্ভিদ। এটির রস মানুষের শরীরে শক্তিবর্ধক হিসাবে কাজ করে থাকে। এটি খেলে সর্দি কাশি থেকে রাহায় পাওয়া যায়। অশ্বগন্ধা মানসিকচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, এমনকি বন্ধ্যাত্ব নারীর ক্ষেত্রে অনেক কার্যকারিতা পাওয়া যায়।

অশ্বগন্ধা গাছের উপকারিতা

২৫. সাজনা

সাজনে পাতা বা সাজনা ফল মানুষের উচ্চ রক্তচাপ ও লিভারের বিভিন্ন ওষুধ হিসাবে ব্যবহার হয়। এমনকি সাজনা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এছাড়া কাচা রসুনের সঙ্গে সাজনা গাছের পাতা একসাথে মিলিয়ে খেয়ে বাতের ব্যথা উপশম হয়। তবে এই গাছের পাতা ও ফল অনেক পুষ্টিকারক বলে গবেষণায় দেখা গেছে। এটি রুচি বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বলে বহুকাল ধরে ভারতীয় উপমহাদেশে বিশ্বাস রয়েছে।

এছাড়া ত্রিফলা ফলের মধ্যে রয়েছে আমলকি, হরিতকী, বহেরার মতো ফলগুলো ঔষধি হিসাবে আদিকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *