ইসলাম হলো মানুষের এমন এক জীবন ব্যবস্থা যা মেজাজ বা মর্জির সঙ্গে শতভাগ সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইসলাম তার অনুসারী কে এমন কোনো কিছু করতে বলে , যা তার মানবিক প্রকৃতির বিরুদ্ধে দাড়ায়।
‘আল্লাহ তা’লা কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোনো কাজ চাপিয়ে দেন না । (সূরা: আল বাকারা, আয়াত: ২৮৬)।
তাই নিষিদ্ধ ও শিরক হয় এমন কাজ সব পদ্ধতি ব্যতীত বৈধ পদ্ধতিতে চিকিৎসা গ্রহণ করায় কোনো বাধা-নিষেধ নেই। সুতরাং ডাক্তারি চিকিৎসা হিসেবে ‘মরিয়ম ফুল’ ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু এর ধর্মীয় বিশেষ কোনো বিশ্লেশন এর সাথে কাজের মিলের সাথে বিশ্বাস করা যাবে না।
মরিয়ম ফুলের পরিচিতি
এর বৈজ্ঞানিক নাম Anastatica hierochuntica। মরুভূমির অসয্য গরমের মধ্যে থাকা শুকনো গাছ। নির্জীব পাথরের মতো শক্ত হয়ে পড়ে। বৃষ্টির ছোয়া পেলে জীবন ফিরে পায় । এবং এরা বংশ বিস্তার করে। মরিয়ম ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, দস্তা এবং লোহা। মরিয়ম ফুলের জন্মে হয় মরু অঞ্চলে।সাহারার মধ্যপ্রাচ্য ও মরু অঞ্চলে বছরের পর বছর শুকনো অবস্থায় মাটিতে আঁকড়ে ধরে থাকে।
মরিয়ম ফুল’ সম্পর্কে বিস্তারিত-
সমাজে ‘মরিয়ম ফুল’ সম্পর্কে অনেক বিভ্রান্তি চালু আছে। হজ করতে গিয়ে অনেক হাজি এই ফুল নিয়ে আসেন এবং এর পানি দিয়ে উপকার গ্রহণ করে থাকে। অনেকে আবার মনে করেন, মরিয়ম ফুলের পাপড়ি পানিতে ভিজিয়ে পান করলে প্রসবকালীন ব্যথা হারিয়ে যায় এবং সহজে প্রসব হয়। আবার কারো বিশ্বাস যে, এই ফুল শুঁকেই নাকি মারইয়াম (আ.) গর্ভে সন্তান লাভ এসেছিল।
আবার কোনো কোনো ব্যবসায়ী লাভের আসায় এটিকে নবী (সা.) নির্দেশিত ওষুধ হিসেবেও প্রচার করে থাকেন।
আরো পড়ুন : রাতকানা রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা
ইসলাম কী বলে
ইসলামি শরীয়ত অনুযায়ীএর কোনো ভিত্তি নেই। কোরআন ও হাদিসের মাঝে এর কোনো গুরুত্ব ও তাৎপর্য প্রমান হয়নি । উপরের কথাগুলো পুরোপুরিই সামাজিক কুসংস্কার ও আজব।
তবে ভেষজ উদ্ভিদীয় চিকিৎসা হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে । এটি শারীরিক চিকিৎসার বিষয়, বরং পরীক্ষা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জানা যায়। সুতরাং ওষুধি গাছ হিসেবে চিকিৎসার জন্য আমরা এই ফুল থেকে উপকার গ্রহণ করতে পারি। কিন্তু এর ধর্মীয় কোনো ‘তাৎপর্য বা ফজিলত’আমরা বিম্বাস করতে পারিনা ।
এরকম আরো পোষ্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন । এই পোস্টের ব্যাপারে আপনাদের কোন মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন।