রাতকানা রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা

রাতকানা রোগ

রাতকানা রোগ এক ধরণের দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা ,যার কারণে রাতে চলাচলের অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। এই রোগটি নিক্যালোপিয়া নামেও পরিচিত। রাতকানা রোগে ভুক্তভোগী রোগীরা রাতে বা অন্ধকার কোনো স্থানে     দুর্বল দৃষ্টিভঙ্গি অনুভব করে। যদিও “রাতকানা রোগ” শব্দটি বোঝায় যে আপনি রাতে দেখতে পাচ্ছেন না, এটি এমন নয়।

এই রোগের সমস্যার কারণে অন্ধকারে দেখতে বা যানবাহন চলাচলের জন্য সমস্যা হতে পারে। কিছু রাতকানা রোগী চিকিৎসায় ভালো হয় ,আবার কিছু রোগী আছে ,যা কখনই ভালো হয়না। আপনার দৃষ্টি প্রতিবন্দকতা সম্পর্কে জানতে ভালো চুক্ষ বিষেশজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যদি আপনার কোনো প্রকার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তা সম্পর্কে আপনি ভালো চিকিৎসা নিয়ে সেখান থেকে বাহির হয়ে আস্তে পারবেন।

রাতকানা রোগের লক্ষণ

রাতকানা রোগের প্রধান কারণ হলো রাতে বা মৃদু আলোতে দেখতে বা চলাচলের সমস্যা দেখা দেয়। মটরবাইক সহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চালাতে অসুবিধা দেখা দিবে। হালকা আলোতে কম দেখতে পাওয়া বা বোরে চলাফেরা করতে সময় কম দেখতে পাওয়া রাতকানা রোগের লক্ষণ।এই রোগ হলে চোখের কর্নিয়া ঘোলাটে হয়ে যাবে। চোখের ভিতরে বুদবুদে আকার দেখা দিতে পারে। চোখ জ্বালা করবে যা আপনাকে বিরক্তিফিল করবে।রাতে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে সামন থেকে বড়ো বা বেশি আলো চোখে পড়লে আপনার দেখতে সমস্যা হবে।

  • এই রোগের প্রধান লক্ষণ হলো রাতে ,অন্ধকারে বা হালকা আলোতে কম দেখতে পাওয়া
  • সন্ধ্যায় বা ভোরে কম দেখতে পারলে
  • চোখের সাদা অংশে উজ্জ্বলা ভাব কমে যায়
  • রাতে গাড়ি ড্রাইভিং করতে সমস্যা দেখা দেয়
  • চোখের করণীয় নরম হয়ে যায়
  • চোখের ভিতরে ছাই রঙের ছোট দবুদ ভর্তি স্পট দেখা যায়
  • চোখের কর্নিয়াতে ঘাঁ হতে পারে এবং কর্নিয়া নরম হয়ে যায়

আরো পড়ুন : আনারসের উপকারিতা ও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া

রাতকানা রোগের কারণ

রাতকানা রোগ বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। নিজেদের অসতর্কতা ও অনেক প্রকার খবর না খোয়ার আমাদের শরীরে অতিরিক্ত খাদ্যের চাহিদা পূরণ না হলে অথবা অপুষ্টিতে ভোগার কারণে এই রোগ দেখা দিতে পারে।নিম্নে এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।

  • ভিটামিন এ এর কারণে রাতকানা রোগ হয়।
  • ডায়রিয়া,নিউমোনিয়া,হাম রোগ হলে মানবদেহে ভিটামিন এ এর অভাব দেখা দেয়। আর এর ফলে যথা সময়ে ভিটামিন এর অভাব পূরণ না হওয়ার কারণে রাতকানা রজার সৃষ্টি হয়।
  • বিভিন্ন প্রকার ওষুধের পার্শপতিক্রিয়ার কারণে ও চোখের বিভিন্ন চিকিৎসা যেমন : ফটোরিফ্রেক্টিভ কেরাটেক্টমি, ল্যাসিক,  রেডিয়াল কেরাটোটমির কারণেও হালকা আলোতে চোখের দৃষ্টি কমে যেতে পারে।

আরো পড়ুন : পুরুষের পাঁচ সমস্যার সমাধান

রাতকানা রোগের চিকিত্‍সা

রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি পেতে বা জানতে  আপনাকে ভালো কোনো ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিয়ে আপনার চোখ পরীক্ষা করতে হবে। চোখ পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে আপনার রক্ত নেওয়া হতে পারে। রক্ত পরীক্ষা করার মাধ্যমে ভিটামিন এ এবং গুলকোজ এর স্তর পরিমাস করা যায়। প্রতি নিয়ত ভিটামিন এ জনিত খাবার খাওয়ার কারণে এই রোগ হতে মুক্তি পেতে পারেন। ভিটামি এ যুক্ত খাবার বলতে টমেটো,কুমড়া,ছোট মাছ,মিষ্টি আলু,কলিজা,দুধ,গাজর,পেঁপে জাম্বুরা,ডিম,পালংশাক সহ বিভিন্ন খাবারে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ থাকে। এই সমস্যা থেকে ভালোভাবে চলাফেরা করতে আপনারা ডাক্তার দেখিয়ে পরামর্শ নিয়ে চশমা ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুন : সুস্বাদু চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা

রাতকানা রোগের প্রতিকার

যাদের জন্মগত এই সমস্যা তাদের ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এই যাতে না হয় তার জন্য আপনাকে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। আপনারা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস,খনিজ এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন,তাহলে আপনি এই রাতকানা রোগ হতে মুক্তি পেতে পারেন। প্রতি দিন খাবারের মেনুতে প্রচুর ভিটামিন এ যুক্ত খবর রাখতে হবে। ভিটামিন এ যুক্ত খাবার আপনার চোখের সকল সমস্যা দূর করতে অনেকক্ষানি ভূমিকা রাখে। তাই সব সময় টাটকা শাক সবজি ও ফলমূল খেতে হবে। ভিটামিনা এ রয়েছে এমন খাবার সব সময় বেশি বেশি খাইতে পারলে চোখের সকল সমস্যা সহ রাতকানা রোগ হতে মুক্তি পাওয়া যাবে। সরকারি ভাবে প্রতি বছর শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় ,মনে রাখবেন কোনো ভাবেই যেন আপনার শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়াতে মিস না করেন। এই ক্যাপসুল আপনার শিশুর জন্য অনেক বেশি উপকারী। তাই ভিটামি এ এর অভাব পূরণ করতে এই সব খাবার খুবই মূল্যবান। তাহলে আপনি রাতকানা রাখতে দূরে থাকতে পারবেন।

আমাদের সবাইকে নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। শরীর ভালোতো সবভালো,নিজে সুস্থ থাকুন অন্যকে সুস্থ থাকার পরামর্শ দিন। স্বাস্থ সম্পর্কে আরো জানতে আমাদের সাইটের অন্নান্য পোস্ট গুলো দেখতে পারেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version