আগামি ১০ জানুয়ারিতে বিপিএল শুরু করতে চায় বিসিবি, নির্ভর করছে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোসনার উপর। বিপিএল নিয়ে ইতিবাচক কথা শোনালেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে তারা বিপিএল শুরুর আশা করছেন।
বিপিএল শুরু হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের পরে
গত বছরের জুলাইয়ে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের একটি সভা শেষে, বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, পরবর্তী তিন আসর বিপিএলের তারিখ চূড়ান্ত করে ফেলেছেন তারা। তখন তিনি বলেছিলেন, ২০২৩ বিপিএল হবে ৫ জানুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিপিএল ৬ জানুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি এবং ২০২৫ সালে হবে ১ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। সেই ছক অনুযায়ী এই বছরের বিপিএল হয়ে যায় ৬ জানুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি। তবে আগামী আসরের আয়োজন যে জাতীয় নির্বাচনের ওপর নির্ভর করবে, তা অনুমিত ছিল আগে থেকেই। বিসিবির গর্ভনিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক শনিবার বিসিবিতে সভা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিশ্চিত করলেন সেটিই।
বিপিএল কবে শুরু করতে পারি সেই আলোচনা আমাদের একটি বোর্ড মিটিং হয়েছে। সেখানে আমাদের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের পরপরই আমরা বিপিএল করব। জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে শোনা যাচ্ছে পত্রপত্রিকায়। সেক্ষেত্রে আমরা ১০ তারিখ বা এর আগে-পরে একটা তারিখ দেখে বিপিএল শুরু করব। জানুয়ারীতে শুরু করে আবার ফেব্রুয়ারিতেই শেষ করতে হবে। কারণ শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে।”
আরও পড়ুন: পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় হতে যাচ্ছে এবারের এশিয়া কাপ
বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট এগিয়ে আনার কথাও জানালেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক, ‘প্লেয়ার্স ড্রাফট চেষ্টা করব সেপ্টেম্বরের তৃতীয় বা শেষ সপ্তাহে করতে। যেন প্রত্যেকটি টিম দল গোছাতে পর্যাপ্ত সময় পায়। আমরা উনাদের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা সময়টা ঠিক করছি।
“বিপিএলে প্রত্যেকটি সিকিউরিটি এজেন্সি সম্পৃক্ত থাকে। একটা আন্তর্জাতিক সিরিজে যেরকম ব্যবস্থা, বিপিএলেও তা-ই। উনাদের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা সময়টা ঠিক করছি।”সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন এই বোর্ড পরিচালক।
নির্বাচনের কারণে টুর্নামেন্টের ভেন্যু এবারও ৩টির বেশি করার সুযোগ নেই বালে দাবি গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিবের। তবে গতবারের ৭ ফ্র্যাঞ্চাজির সঙ্গে এবার যোগ হতে পারে আরেকটি।
বিপিএলের সর্বশেষ আসরে অংশ নিয়েছিল ৭টি দল। এবার একটি দল বাড়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান মল্লিক, ‘আমাদের কাছে আগ্রহী তিন-চারটা প্রতিষ্ঠানের নাম নেওয়া আছে। আগের কেউ যদি কন্টিনিউ করতে না চায় তাহলে আমরা পরিবর্তন করে দিতে পারি। আমাদের যদি স্লট বাড়ে তাহলে একটা টিম বাড়াতেও পারি। এরকম আলাপ আলোচনা হয়েছে বোর্ড। আর্থিক শর্ত ও টুর্নামেন্টের নিয়ম-কানুন যারা মানবে না, তাদেরকে নিয়ে আমরা পরবর্তী আসরে আসবো না।
আরও পড়ুন: আমি আর কোনো টুর্নামেন্ট করব না জাতীয় দলের হয়ে
গত বিপিএলের লিগ পর্বে ছিল না ডিআরএস। এটা নিয়ে সেসময় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। তবে এবার শুরু তেকে থাকবে ডিআরএস, আগামী আসরের মতো আর ভুল করতে চায় না বিসিবি। চার বছরের জন্য ডিআরএস কম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে বিসিবি ।