আমরা সবাই জানি চুলের যত্নে তেল সবচেয়ে উপকারী। অনেকেই জানেন না যে চুলের জন্যে কোন তেল ব্যবহার করলে চুলের জন্যে বেশি উপকারী। উজ্জ্বল চুল পাওয়ার অন্যতম পথ হল তেল দিয়ে চুল আর মাথায় ম্যাসেজ করা। কিছু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উপকারিতা হচ্ছে যে নিয়মিত তেল দিয়ে ম্যাসেজ করার। এই সব তেল উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় মাথার ত্বক ও চুলে খুব ভালো কাজ করে। আসুন জেনে নিই যে ৭ টি তেল ত্বক ও চুলে জন্যে বেশি উপকারী।চুলের জন্য

চুলের যত্নে যে ৭টি তেল কার্যকরী

১। নারিকেল তেল:

নারিকেল তেল হচ্ছে তেল যা নারিকেল গাছ থেকে সংগৃহীত। ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক প্রতিরোধে ও কোমল রাখতে সাহায্য করে। সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ও চুলের স্বাস্থ্য  নারিকেল তেলের জুড়ি নেই। চকচকে এবং শক্ত রাখার  জন্য শ্রেষ্ঠ উপায়  নারিকেল তেল দিয়ে মালিশ করা। ভার্জিন কোকোনাট অয়েল থেকে কোনোরকম প্রদাহ হয় না যা গবেষণায় দেখা গেছে। নারিকেল তেলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ন্যাচারালি রিফাইন্ড, ভার্জিন গ্রেট, তাপমাত্রায় কোল্ডপ্রেসে তেল বের করা ও ইলেকট্রিক ড্রয়ারে হাইজিন মেইনটেন করে নারিকেল শুকানো । নারিকেল তেল হচ্ছে চুলের যত্নে বেশি উপকারী।

২। আর্গান অয়েল:

একটি ন্যাচারাল অয়েল হলো আর্গান অয়েল। আরগান গাছের ফল বাদামজাতীয় শাঁস থেকে পাওয়া যায় এই তেল। আর্গান অয়েল প্রাকৃতিক গুণাগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে। আর্গান দ্রুত নতুন ত্বকের জন্ম দিতে সাহায্য করে পরিবেশের ক্ষতির হাত থেকে চুলকে বাঁচাতে পারে। আর্গান অয়েলের বেনিফিট গুলো -চুল নারিশ ও শাইনি করে, চুলের গ্রোথ বাড়ায়, ড্যামেজ চুল রিপেয়ার করে ও স্ক্যাল্প ইনফেকশন কমায়।

৩। জোজোবা অয়েল:

মেক্সিকোর, ক্যালিফোর্নিয়া এবংঅ্যারিজোনা দেশগুলোতে  এই গাছ পাওয়া যায়। এর বীজ থেকেই জোজোবা তেল তৈরি হয় । তেলের বিকল্প হিসেবে জোজোবা তেল মাখা যায়।জোজোবা অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করলে চুলের খুশকি তাড়ায়, চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে, পাকা চুল কম করে ও শুষ্ক ভাব কমে আসে।জোজোবা তেল ত্বক এবং চুলের জন্য দারুণ উপকারী।

৪। ক্যাস্টর অয়েল:

ক্যাস্টর অয়েল বা রেড়ির তেলযা মাথার ত্বক ও চুলে জন্যে ভালো কাজ করে। এটি উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, প্রস্টাগ্ল্যান্ডিন বা পিজিডি২ হরমোনের আধিক্য থাকে। গবেষণা বলছে, ক্যাস্টর অয়েলে উপাদান দিয়ে এই হরমোনকে দমন করা যায় ফলে চুলের ভেঙে যাওয়া রোধ করতে, চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে ,মাথার ত্বকের সংক্রমণ নিরাময় করতে ক্যাস্টর অয়েল বিশেষ উপকারী।

৫। আমন্ড অয়েল:

আমন্ড অয়েলের মধ্যে ভিটামিন ই, বায়োটিনের মতো পুষ্টি অপরিহার্য। আমন্ড তেলটি চটচটে ও হালকা একেবারেই নয়। আমন্ড অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই আছে।প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের সুরক্ষা প্রলেপের মতো কাজ করে।চুল পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আপনি কোন উপায়ে আমন্ডের তেল ব্যবহার করতে পারেন। আপনি চাইলেই এই আমন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

৬। অলিভ অয়েল:

অলিভ অয়েল জলপাই ফল থেকে অলিভ তেল তৈরি হয়। তেলটিতে এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড আছে পুনরুজ্জীবিত করে, চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায় আর  চুলের গজাতে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন ই- যা চুলের বৃদ্ধির জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। চুলের যত্নে অলিভ অয়েল কয়েক টি গুন্ হলো  ফ্রিজি চুলের সমাধান, হেয়ার কন্ডিশনার, হেয়ার কন্ডিশনার, খুশকি থেকে মুক্তি ও নতুন চুল গজানো, আপনি অবশ্যই পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

আরো পড়ুন :১১টি রোগের মহৌষধ চিরতা – অজানা তথ্য

৭। তিল তেল:

বহু আয়ুর্বেদিক অয়েল হিসেবে তিল তেল ব্যবহার করা হয় ৷ তিল আমাদের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেলবীজ ফসল।তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও বি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস,ম্যাগনেশিয়াম ও প্রোটিন রয়েছে যা চুল সুস্থ রাখতে খুবই জরুরি। অকালে চুল পেকে যাওয়া রোধ করে, নিয়মিত মাথার স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করতে হবে তাহলে এই সমস্যা দূর হবে ।

এই পোস্ট সম্পর্কে যদি আরো কিছু জানার থাকে আমাদের কাছ থেকে, তাহলে কমেন্ট করতে পারেন। আমরা আপনাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *