করোনাভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস। ডিসেম্বর ২০১৯ সালে আবিষ্কৃত করোনা ভিরিডি পরিবারের একটা ভাইরাস। যা (Ncov) দ্বারা সৃষ্টি ও সংক্রমিত শাসতন্দ্রের রোগ যা আক্রান্ত হবার ২ থেকে ১৪ দিনে যখন প্রকাশ পায়। মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়।
করোনা কিভাবে ছড়ায়:
মূলত বাতাসের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসটি ছড়িয়ে থাকে। এছাড়াও –
১। আক্রান্ত ব্যাক্তির হাঁচি , কাশি , নিস্বাশ , কফ সর্দি ও থুথুর মাধ্যমে ছড়ায়।
২। আক্রান্ত ব্যাক্তি কাউকে স্পর্শ করলে ছড়ায়।
৩। আক্রান্ত বেক্তির সংস্পর্শে আসলে ছড়াতে পারে।
৪। আক্রান্ত বেক্তির ব্যাবহারিত জিনিসপত্র স্পর্শ করলে বা ব্যবহার করলে ছড়াতে পারে।
৫। হাত না ধুয়ে মূখে , নাকে বা চোখে হাত লাগালে ছড়াতে পারে।
৬। পায়নিস্কাসনের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক লক্ষণ :
আপনার বা আপনার সন্তানের যদি জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট থাকে তবে অবশ্যই চিকিৎসা সেবা নিতে হবে। ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে ৫-৭ দিন সময় লাগে। চলুন জেনে নিই এর লক্ষণগুলো কী কী-
- জ্বর ও মাথা ব্যাথা
- অবসাদ
- শুষ্ক কাশি
- বমি হওয়া
- শ্বাস কষ্ট
- গলা ব্যাথা
- অঙ্গ বিকল হওয়া
- পেটের সমস্যা
কিছু রোগীর ক্ষেত্রে উপরোক্ত সকল উপসর্গ দেখা গেলেও জ্বর থাকেনা।
করোনা প্রতিরোধে করণীয় :
করণের এখন পযন্ত কোনো মেডিসিন বা ভ্যাকসিন হয়নি। তাই এ প্রতিরোধ একমাত্র বাঁচার উপায়। নিম্নে প্রতিরোধে করণীয়গুলো তুলে ধরা হলো।
- সাবান, স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ, কাপড় কাঁচা সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে ভালো ভাবে হাত ধুতে হবে ।
- সভা সমাবেশ , ৱ্যালি, গণপরিবহন, বাজার সহ মার্কেটে থেকে বিরত থাকতে হবে।
- চেষ্টা করতে হবে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে না যাওয়া এবং ঘরের মধ্যে থাকা।
- আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে এড়িয়ে চলতে হবে।
- নাক মূখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
- অসুস্থ ব্যাক্তি থেকে ১-২ মিটার বা ৩-৬ ফুট দূরে থাকতে হবে।
- হাঁচি কাশির সময় পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু বেবহার করতে হবে অথবা কনুই ভাঁজ করে মুখ ঢাকতে হবে।
- হাঁচি কাশির সময় ব্যবহারিত কাপড় বা টিস্যু ডাস্টবিন বা নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে।
- অসুস্থ বোধ করলে সবার থেকে আলাদা থাকতে হবে এবং ইডিসিআর বা স্বাস্থমন্ত্রলায় যোগাযোগ করতে হবে।
- কোনো ব্যাক্তির বিনিময় কালে শারীরিক স্পর্শ ( হ্যান্ডশেক বা কোলাকুলি ) এড়িয়ে চলতে হবে।
- যে সকল বস্তু বা জিনিস ঘন ঘন স্পর্শ করা হয়। যেমন : – দরজার হাতল , পানির ট্যাব , সিঁড়ির রেলিং , লিফটের ,বাটন ইত্যাদি জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের ১৫ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন বা সবার থেকে আলাদা হতে হবে।
করোনা ভাইরাসে সতর্কতাঃ
করোনা ভাইরাসে ভয় না করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
- বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের অবশ্যই ১৪/১৫ দিন বাড়িতে অবস্থানের পরামর্শ দিয়েছে রোগতত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
- কোয়ারেন্টেনের এই ১৪/১৫ দিন বাড়িতে অবস্থানের ক্ষেত্রে তাঁদের স্বজনদেরও সচেতন থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্বজন, বাড়িওয়ালা, প্রতিবেশীসহ সমাজের সবার সহযোগিতা কামনা করছে সরকার।
- সাধারণ লক্ষণ বা উপসর্গ নিয়ে সরাসরি না এসে বাসায় থেকেই আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করে উপদেশ ও পরামর্শ পাওয়া যাবে।
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর-১৬২৬৩।
- করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যেকোনো পরামর্শ, উপদেশের জন্য উল্লেখিত হটলাইনে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে : ৩৩৩, ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৪০১১৮৪৫৫১; ০১৪০১১৮৪৫৫৪; ০১৪০১১৮৪৫৫৫; ০১৪০১১৮৪৫৫৬; ০১৪০১১৮৪৫৫৯; ০১৪০১১৮৪৫৬০; ০১৯৩৭০০০০১১; ০১৪০১১৮৪৫৬৮; ০১৯২৭৭১১৭৮৫; ০১৯২৭৭১১৭৮৪ এবং ০১৯৩৭১০০১১।
- করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা অন্য কোনোভাবে মিথ্যা বা ভুল তথ্য প্রচার নজরে এলে তথ্য অধিদপ্তরের সংবাদ কক্ষের ফোন নম্বর : ০২-৯৫১২২৪৬; ০২-৯৫১৪৯৮৮; ০১৭১৬৮০০০০৮; ০১৭১৫২৫৫৭৬৫; এবং ই-মেইল : [email protected], [email protected] অথবা ৯৯৯-এ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ই-মেইল বার্তা পাঠানো যাবে। ফেসবুক আইডি: Iedcr, COVID-19 Control Room, e-mail : [email protected].
আমাদের পোস্টি উপকারী বলে আপনি মনে করেন, তাহলে আপনার বন্ধুদের পোস্টি শেয়ার করে সহযোগিতা করুন। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যেকোনো প্রশ্ন বা আপনার মতামত নিম্নে কমেন্ট বক্স এ কমেন্ট করুন।