আমদানির অনুমতি পাওয়ার প্রথম দিনেই দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। আর এই খবরে পণ্যটির দাম পাইকারি বাজারেও কমছে ৩০ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের তিন সপ্তাহ পর পেঁয়াজের কেজি যখন ৯০ থেকে ১০০ টাকায় উঠল, ঠিক তখন পণ্যটি আমদানির বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এদিকে সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরপরই পাইকারি বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। ঘোষণার পর গতকাল রোববার পাইকারিতে প্রতি কেজিতে অন্তত পাঁচ টাকা দাম কমেছে বলে জানা যায়।
প্রতি টন পেঁয়াজ ২২০ থেকে ২৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খাঁন।
আরও পড়ুনঃ যে সেবা পেতে ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে সরকারকে
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ গত ১৪ মে সীমিত পর্যায়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারকে চিঠি পাঠান। তখনই এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে প্রতি কেজি দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় গতকাল প্রতি কেজি পেঁয়াজ কেনাবেচা হয়েছে প্রতি কেজি ৯০–১০০ টাকা দরে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। বর্তমানে মজুত আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে বা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ৩০–৩৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন।
আরও পড়ুনঃ যেসব পণ্যের দাম কমতে ও বাড়তে পারে
বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে ৩০ লাখ টনের মতো। তবে চাহিদা মেটাতে আমদানি করতে হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি হয় ৬ লাখ ৬৫ হাজার টন।
বর্তমানে এক কেজি দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ ২৮–৩০ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি উন্মুক্ত থাকায় পেঁয়াজ আমদানি বেশি হয়েছিল। তখন দেশি পেঁয়াজের বাজারদর ছিল কম, প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। চাষে কৃষকের আগ্রহ ধরে রাখতে কৃষি মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছিল।
পেঁয়াজের সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌছাতে বিভিন্ন ধাপে অপচয় ২৫-৩০ শতাংশ বাদে গত বছর নিট উৎপাদন হয়েছে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার টন।