বার্সেলোনায় এক দশকের অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের মধ্যে টিকে ছিলেন শুধু জর্দি আলবা ,সের্হিও বুসকেতসের বিদায় ঘোষণার পরে ।বুসকেতসের পথে হাঁটলেন মৌসুম শেষ হওয়ার আগে সেই আলবাও ।এই লেফট ব্যাকও বার্সেলোনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় বলে দিলেন। এই স্প্যানিশ তারকা বার্সার হয়ে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে তৃপ্ত বলেও মন্তব্য করেছেন চলে যাওয়ার আগে।
আলবা ২০১২ সালে বার্সার হয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এই স্প্যানিয়ার্ড ধীরে ধীরে বাঁ প্রান্তে নিজেকে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় হিসেবে প্রমাণ করে ছিলেন।আলবা অসংখ্য জয়ের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদানও রেখেছেন বার্সেলোনায়।এই ক্লাবটির হয়ে সে জিতেছেন ১৯টি ট্রফি। আলবা বার্সায় ৪৫৮ ম্যাচ খেলেছেন ,আর যেখানে সে সর্ব সাকল্যে মাঠে খেলেন ৩৭ হাজার ৫৯৯ মিনিট। আর ওই সময়ে মাঠে গোলও করেছেন সে ২৭টি, গোলের পাশাপাশি আরও সহায়তা করেছেন ৯৯ গোলের।
আলবা বার্সায় দারুণ জুটিও গড়ে তুলেছিলেন লিওনেল মেসির সঙ্গে। আলবার অ্যাসিস্ট থেকে অনেক গোলও করেছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু আলবা বয়স ও ছন্দের কারণে আগের অবস্থান ধরে রাখতে পারেননি চলতি মৌসুমে। মৌসুমে অনেক ম্যাচে শুরু করেছেন সাইড বেঞ্চ থেকে। আর তাই হয়তো অন্য কোথাও ঠিকানা খুঁজে নিতে চান আলবা।
বর্ণিল ক্যারিয়ারে , ৫টি কোপা দেল রে,৬টি লা লিগা, ১টি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও ৪টি স্প্যানিশ সুপার কাপ, আলবা জিতেছেন বার্সেলোনার হয়ে।
আরও পড়তে পারেন : আইপিএলে ডি ভিলিয়ার্স ধোনির ভয়ংকর অজানা রূপ সামনে নিয়ে আসলেন
নিজের বিদায়ের ঘোষণা দেওয়ার সময় আলবা বলেছেন, ‘আমি ঘোষণা দিতে চাই, এটা বার্সেলোনায় খেলোয়ার হিসেবে আমার শেষ মৌসুম। যানি এ সিদ্ধান্ত নেওয়া তেমন সহজ ছিল না। তবে আমি তা আনন্দের সতে বিদায় নিচ্ছি।’
আলবা আরও বলেছেন, বার্সার হয়ে যাত্রা শুরুর সময়টাকে মনে করে ‘২০১২ সালে আমি ক্যাম্প ন্যুতে এসেছিলাম, সেটি অনন্যসাধারণ একমুহূর্ত ছিল আমার জন্য।আমি ১১ মৌসুম পর যা জিতেছি, তা নিয়ে আমি গর্বিত এবং যা অর্জন করেছি, তা নিয়েও আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট।’
এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বার্সায় সময়টা যে উত্থান-পতনের ছিল, সেটিও মনে করেছেন। আর এখানে সবকিছু যে আনন্দের ছিল, তা নয়। কিন্তু আমাদের অনেক কঠিন সময়ও পার করতে হয়েছিলো । কিন্তু ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা সব মোকাবিলা করেছিলাম ।আমি খুব মিস করব ক্যাম্প ন্যুতে ছুটে বেড়ানো, সমর্থকদের কাছ থেকে সাহস পাওয়া, তাদের ভালোবাসা এবং দারুণ মুহূর্তে তাদের আনন্দ ।’