আবহাওয়ার পরিবর্তনে শিশুকে সুস্থ রাখাসম্বব হচ্ছেনা সেই সাথে বড়রাও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে বেশির ভাগ শিশুরা ঠান্ডা-জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত হয়। সেজন্য শিশুকে সঠিক পরিচর্যার মধ্যে রাখতে হবে।

আমরা জানি ঋতু পরিবর্তন শিল। বসন্ত মানেই ঋতু পরিবর্তনের সময়। ঋতু পরিবর্তনে শিশুর যত্ন নিতে হবে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় শিশুদের ভাইরাস জ্বর হতে পারে। এমনটি হলে শিশুকে প্রচুর পরিমান পানি, তরল খাবার ও ফলের রস খাওয়াতে হবে। শরিলের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রীর বেশি হলে অবশ্যই শিশুকে সুস্থ রাখাতে ডাক্টারের কাছে বা হাসপাতালে নিতে হবে।
আবহাওয়ার পরিবর্তনে শিশুকে সুস্থ রাখার ৭টি উপায়
শীতের শেষ সময়, শিশুর শরীরে চুলকানি ও অ্যালার্জির মতো বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দিতে পারে। পরবর্তীতে অ্যালার্জি বেড়ে গিয়ে র‍্যাশ, ফুসকুড়ি বা চুলকানি হয়ে থাকে। যেসব শিশুর অ্যালার্জি আছে, তাদের ফুলের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখুন। আর ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই শিশুকে মাস্ক পরিয়ে নিন। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। সেই সাথে নিয়মিত গোসল ও পরিষ্কার জামা-কাপড় পরতে হবে শিশুদের।

আরও পড়তে পারেনঃ জ্বর-সর্দি নিরাময়ের প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায়

আবহাওয়ার পরিবর্তনে শিশুকে সুস্থ রাখার ৭টি উপায়

ঋতু পরিবর্তনের সময় বেশি করে শিশুর যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। সেজন্য রইলো গুরুত্বপূর্ণ ৭টি টিপস –

❏ ১. শিশুকে পরিষ্কার রাখুন (Keep your Baby clean): দিনের বেলায় রোদ থাকার কারণে শিশুর শরীর ঘামে ভিজে যেতে পারে । সেজন্য শিশুর বগল বা কুচকিতে ফাঙ্গাল ইনফেকশন যাতে আক্রান্ত না করতে পারে সেজন্য নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন এবং টেলকম পাউডার ব্যবহার করুন।

❏ ২. যত্ন নিন ত্বকের (Take care of the skin): আমরা জানি ছোটদের ত্বক অনেক কোমল ও সংবেদশীল হয়ে থাকে। তাই আবহাওয়ায় পরিবর্তনের সময় শিশুর বুঝে-শুনে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। শীতের শেষের দিকে শিশুর ত্বক আরও খসখসে হয়ে যায়। তাই শিশুর শরীলে বডি লোশন বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

❏ ৩. আবহাওয়া বুঝে পোশাক (Understand the weather clothing): শিশুকে বেশি ভারী কাপড় পরাবেন না আবার একেবারেই পাতলা কাপড় পরিয়ে রাখবেন না। কেননা ভারী কাপড় পোড়ালে শিশুর ঘাম হতে পারে আবার পাতলা কাপড় পোড়ালে শিশুর শরিল ঠান্ডা হবে। সেজন্য দিন ও রাতের তাপমাত্রা বুঝে শিশুকে সেরুপ পোশাক পড়াতে হবে।

❏ ৪. প্রতিদিন গোসল (Take a shower every day): আবহাওয়া যেরকমই হোক না কেন শিশুকে সুস্থ রাখাতে প্রতিদিন ঈষদুষ্ণ পানিতে গোসল করাতে হবে। শিশুর শরীর জীবাণু মুক্ত রাখতে গোসলের পানিতে নিমের পাতা বা অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড মিশিয়ে গোসল করাতে পারেন।

❏ ৫. খাবার-দাবারে যত্নশীল হন (Be careful with food): ঋতু পরিবর্তনে শিশুরা ডায়রিয়াতেও বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই এ সময় শিশুর খাবারের প্রতি লক্ষ্য রাখুন। স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খেতে দিন। ফাস্টফুড কিংবা প্রকৃতিজাত কোনো খাবার শিশুকে খাওয়াবেন না। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে শিশুদের মৌসুমি ফল, পানি, ঘরে তৈরি শরবত বেশি বেশি খেতে দিতে হবে। সঙ্গে ভিটামিন, খনিজ লবণ, প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে হবে। এগুলো শিশুকে সুস্থ রাখাতে রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

❏ ৬. ভোর রাতের গরম কাপড় দিন (Wear warm clothes at last night ) : শীতের শেষ দিকে ভোর রাতে আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা থাকে। শিশুরা ঘুমের মধ্যে শরীর থেকে লেপ বা কম্বলটি সরিয়ে ফেলে। সেজন্য ভোর রাতের দিকে শিশুকে গরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন।

❏ ৭. ফ্যানের প্রবাহ ক্যালকুলেশন (Fan flow Calculation) : শিশুর শরীর ঘামছে বলে কখনো জোরে ফ্যান চালাবেন না। যদি ফ্যান চালাতে প্রয়োজন হয়, তবে হালকা করে ছেড়ে রাখুন। রাতের বেলায় ফ্যান না চালানো উচিত। একটি গবেষণায় দেখা গেছে ” শুধু ফ্যানের বাতাসের কারণে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে।”

মনে রাখতে হবে, আপনার শিশুকে সরিষার তেল মাখাবেন না। কেননা সরিষার তেল থেকে ফুসকুড়ি বা প্রদাহ হতে পারে। সরিষার তেল মাখিয়ে বাচ্চাকে রোদে রাখা গ্রামের প্রচলিত যে রীতি আছে তা একেবারেই অনুচিত। যার ফলে ত্বকের পিগমেন্টেশন বেড়ে যায় এবং শিশু কালো হয়ে যায়।

আরও পড়তে পারেনঃ রংপুরে সমস্ত শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ এর তালিকা

শিশুর ব্যবহারের সাবান এবং শ্যাম্পু সম্বন্ধে সচেতন থাকতে হবে। বিজ্ঞাপন ভালো লাগলেই শিশুর জিনিস কিনে ফেলা যাবে না। যেসব সাবান বা শ্যাম্পু কোয়ালিটি কন্ট্রোলের মাধ্যমে পরীক্ষিত, সেসব পণ্য ব্যবহার করতে হবে।

শিশুদের ঋতু পরিবর্তন খুব গুরুত্ব সময়। সঠিক ভাবে শিশুদের যত্ন নিলে শিশুটি তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠবে ঠিকঠাক ভাবে। আসুন আমরা সকলে শিশুদের প্রতি যত্নশীল হই। পোস্টিতে কোনো ভুল থাকলে আমাদের কমেন্টে ধরিয়ে দিবেন। আপনার শিশুটি সুস্থ থাকুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

By রংপুর মিডিয়া

রংপুর মিডিয়া সব সময় পজেটিভ চিন্তা করে। আমাদের সকল সংবাদ ও প্রতিবেদনগুলো পজেটিভ। আমাদের উদ্দেশ্য পজেটিভ চিন্তার মাধ্যমে পজেটিভ এনার্জি জাগ্রত করা ও দেশের মানুষের কল্যাণ করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *