সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রবাসীর দেশ সৌদি আরবের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি প্রবাসী আয় আসছে। পাচার করা টাকা রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসছে কি না, তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। ফাহমিদা খাতুন বলেন, বিদেশে লোক যাওয়া ও রেমিট্যান্স পাঠানোর মধ্যে একটা অসামঞ্জস্য আছে।অনেকেই ঘরবাড়ি জমিজমা বিক্রি করে এ দেশ থেকে টাকা নিয়ে চলে যান। অনেক শিক্ষার্থী সেখানে আছেন, যাঁরা চাইলেও টাকা পাঠাতে পারেন না। তাহলে এই টাকা কোথা থেকে আসছে তার একটা সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হচ্ছে, এ দেশ থেকে যে টাকা পাচার হয়ে গেছে, সেই টাকা রেমিট্যান্সের সুবিধা নিয়ে ফেরত আসছে।সিপিডি আরও বলছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ ৩০ হাজার লোক সৌদি আরবে গেছেন। এই সংখ্যা ওই সময় প্রবাসে যাওয়া সাড়ে ২১ লাখ লোকের প্রায় ৫৭ শতাংশ। কিন্তু এই সময়ে সৌদি আরব থেকে আসা রেমিট্যান্স কমেছে, তবে বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। রেমিট্যান্স পাঠানোয় সৌদি আরবের জায়গা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ফাহমিদা আরও বলেন, বিদেশ থেকে যে আয় আসছে, সেখানে স্বচ্ছতা আনতে হবে। হুন্ডি, হাওলা বন্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নিতে হবে। আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে।
আরও পড়ুন:ঢাকায় আসছেন চীনের ভাইস মিনিস্টার ওয়েইডং
রপ্তানি আয় নিয়ে তিনি বলেন, তৈরি পোশাকের রপ্তানি ৯ শতাংশ বাড়লেও অন্যান্য রপ্তানি প্রায় ১১ শতাংশ কমেছে যেটা ভালো লক্ষণ নয়। তবে পোশাকশিল্পে পণ্যের দাম আগের চেয়ে বেড়েছে, যেটা ভালো।
তিনি বলেন, এটা একেবারেই অস্বাভাবিক, কখনোই হয় না। গত ১০ মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ৯ দশমিক ২২ লাখ মানুষ গেছে। সেখান থেকে প্রত্যাশা মতো রেমিট্যান্স আসছে না। লোক যাওয়া ও রেমিট্যান্সের মধ্যে মিসম্যাচ হচ্ছে।