বিদেশে ঘুরতে গেলেই আপনাকে বছর শেষে আপনার সব ধরনের সম্পদের তথ্য জানাতে হবে। নতুন আয়কর আইনে এই শর্ত দেওয়া হয়েছে।আইনটি সংসদে পাস হলে শুধু চিকিৎসা ও ধর্মীয় উদ্দেশ্য ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে বিদেশ ভ্রমণ করলেই আয়কর রিটার্ন জমার সময় সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে হবে।
নতুন আয়কর আইনের এই খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে।
আয়কর রিটার্ন জমার সময় বর্তমানে সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি শর্ত আছে।
শর্তগুলো হলো—১. অর্থবছরে মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকা হলে; ২. একটি মোটরগাড়ির মালিক হলে; ৩. সিটি করপোরেশন এলাকায় গৃহ-সম্পত্তি বা অ্যাপার্টমেন্টের মালিক হলে। এসব সম্পদে বিনিয়োগ করলেই বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সম্পদের রিটার্ন দিতে হয়।
আরও পড়ুনঃ যেসব পণ্যের দাম কমতে ও বাড়তে পারে
নতুন আইনে বিদ্যমান তিন শর্তের সঙ্গে নতুন করে আরও তিনটি শর্ত যুক্ত হচ্ছে।
নতুন এ বিধান কার্যকর হলে কেউ যদি ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে ঘুরতে যান, তাহলে দেশে ফিরে রিটার্ন দেওয়ার সময় সম্পদের হিসাব কর কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। আপনার করযোগ্য আয় থাকুক কিংবা না থাকুক, দেশের সীমানা পেরোলেই ফ্ল্যাট, জমি, আসবাব, ব্যাংক–ব্যালান্সসহ যাবতীয় সম্পদের তথ্য জানানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে নতুন আইনে। বর্তমানে কর শনাক্তকরণ নম্বরের (টিআইএন) সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), পাসপোর্ট কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের স্বয়ংক্রিয় সম্পৃক্ততা রয়েছে। ফলে এখন আর কেউ বিদেশভ্রমণ করে তা চাইলেও লুকাতে পারবেন না।
আইনটি সংসদে পাশ হলে, ব্যক্তির করযোগ্য আয় থাকুক কিংবা না থাকুক, দেশের সীমানা পেরোলেই ফ্ল্যাট-জমি, আসবাব, ব্যাংক ব্যালান্সসহ যাবতীয় সম্পদের তথ্য জানানো বাধ্যতামূলক করা হবে।
আরও পড়ুনঃ এবার লবণের কেজি ৫০ টাকা করার প্রস্তাব।
কর শনাক্তকরণ নম্বরের (টিআইএন) সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), পাসপোর্ট অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ থাকায় এখন আর কেউ বিদেশ ভ্রমণ করে তা আর লুকাতে পারবেন না।